আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণহত্যার বিচার ১ নভেম্বর থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হত্যা-গণহত্যার ঘটনার বিচার করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংস্কার কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। আশা করছি আগামী ১ নভেম্বর থেকে মূল ভবনে বিচারকাজ পরিচালনা করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার কী নির্মমভাবে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়েছিলো। দিনে দিনে আমরা মৃতদের নতুন সংখ্যা পাচ্ছি, সংবাদ পাচ্ছি। হাজার হাজার মানুষের অঙ্গহানি ঘটেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন। চিরদিনের জন্য বিকলাঙ্গ হয়ে গিয়েছেন।
বাংলাদেশ কেন, এই উপমহাদেশের ইতিহাসে শান্তিকালীন সময়ে এত বড় গণহত্যার নজির কোথাও নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, পৃথিবীতেও এটা খুবই বিরল বলা চলে। সেই অপরাধের বিচার যেখানে হবে, সেটা পরিদর্শন করেছি। পূর্ত উপদেষ্টার সক্রিয় ভূমিকার কারণে অতি দ্রুত সংস্কার কাজ সম্পন্ন করছি।
এদিকে ট্রাইব্যুনালে কিছু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আইন উপদেষ্টা বলেন, আমাদের প্রসিকিউশন টিম আছে। এটা তো মন্ত্রণালয়ের কাজ না। প্রসিকিউশন টিম আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে পদক্ষেপ নেবেন। আমরা এটুকু বলতে চাই— বিচার হবে, তবে সেটা সুবিচার।
এর আগে সকালে ট্রাইব্যুনালে যোগ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারপতি। বিচারপতিদের স্বাগত জানান ট্রাইবুনালের প্রসিকিউশনের সদস্যরা।
এ সময় ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আগামীকাল বুধবার ট্রাইব্যুনালের এজলাস কক্ষে বিচারপতিদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এরপর বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এজলাসে বসবেন। সেদিন থেকে বিচারকাজ শুরু হবে।