ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাভাবিক পরিবেশ পেয়েছি। সজাগ ও সতর্ক না থাকলে ওই হায়নারা আবারও আমাদের পরিবেশকে বিনষ্ট করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। রোববার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা আউটার স্টেডিয়ামে আয়োজিত তাঁতবস্ত্র দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ্যানি বলেন, বিএনপি ও ছাত্ররা আন্দোলন করছে দেশ ও জনগণের জন্য। সুতরাং আমাদের টার্গেট আর ছাত্রদের টার্গেট এক। একই লক্ষ্যে আমাদেরকে পৌঁছাতে হবে। এতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এখানে সুযোগ নেয়ার জন্য অনেকেই দুর্বল পয়েন্ট তৈরি করে দেবে। সেখানেও কোনো সুযোগ দেয়া যাবে না। আমাদের মধ্যে প্রতিযোগীতা থাকবে, কিন্তু প্রতিহিংসার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, সার্বিক আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তবে পালিয়ে গিয়ে তিনি এখন আবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এখন পর্যন্ত এরা (আওয়ামী লীগ) জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি। বরং আমাদেরকে থ্রেট করছে, ধমক দিচ্ছে। এ থ্রেট পুরো জাতিকে, পুরো বাংলাদেশের জনগণকে করছে। আমাদের টার্গেট হলো কাঙ্খিত লক্ষ্যে আমাদেরকে পোঁছাতে হবে। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশটাকে আমরা সুন্দর দেশ হিসেবে দেখতে চাই।
বর্তমান প্রজন্মের উদ্দেশে এ্যানি বলেন, ভবিষ্যতে মেধার ভিত্তিতে আপনাদেরকে জায়গা খুঁজতে হবে। আপনারা মেধার জন্য আন্দোলন করেছেন। আমার কাছে অনেক তদবির আসে, বিভিন্ন চাকরির জন্য। চাকরিতো আপনি করবেন, কিন্তু মেধার ভিত্তিতে আপনাকে আসতে হবে। সুতরাং আমার মনে হয় তবিরটা কমিয়ে কিভাবে মেধার প্রতিযোগীতায় সেখানে যেতে পারেন, সেই চেষ্টা আপনারা করবেন।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি ক্লাব উৎসবমুখর ও জমজমাট রাখতে হবে। ক্রীড়াঙ্গন উৎসবমুখর রাখলে মাদক আপনাদেরকে স্পর্শ করতে পারবে না। বিগত সরকার শুধু অবৈধ সরকার নয়, মাদকেরও সরকার ছিল। তারা মাদক দিয়ে এ প্রজন্মকে ধংস করে দিতে চেয়েছিল। এরা এ প্রজন্মকে ধংস করারা জন্য যত রকমের অপকৌশল আছে, ষড়যন্ত্র আছে সবকিছু তারা এবং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত একসঙ্গে মিলে করেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে মাদক এসেছে, তারা এখানে মাদকের এজেন্সি নিয়ে বাংলাদেশের এ প্রজন্মকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও লক্ষ্মীপুর জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আহমেদ ফেরদৌস মানিক, সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সালেহ উদ্দিন, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আবদুর রব শামীমসহ অন্যান্যরা।