বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীর মাইজদী হকার্স মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: পুড়ে ছাই ২৫টি দোকান

নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে

নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রাত পৌনে ১২টার দিকে শহরের ব্যস্ততম হর্কাস মার্কেটে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে মার্কেটের একটি অংশ থেকে আগুনের ফুলকি দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মাইজদী ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট।

মাইজদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ ইয়াছিন মোল্লা জানান, “ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পাঁচটি টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। তবে, কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।”

এ ঘটনায় অন্তত ২৫টির বেশি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের মতে, ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মুদি দোকান, ইলেকট্রনিকসের শোরুম এবং টেক্সটাইল দোকান।

অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা যায়নি, তবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এতে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, “আমার দোকান থেকে মাত্র কিছুক্ষণ আগে বের হয়েছিলাম। হঠাৎ আগুনের খবর পেয়ে ছুটে আসি। এসে দেখি আমার দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। কীভাবে এই ক্ষতি সামলাবো বুঝতে পারছি না।”

ফায়ার সার্ভিস ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য স্থানীয় প্রশাসন থেকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও সতর্কতা অবলম্বন এবং বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থার ত্রুটি নিরসনের উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে শনিবার (১১ জানুয়ারি) গভীর রাতে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রাত প্রায় পৌনে ১২টার দিকে শহরের ব্যস্ততম হকার্স মার্কেট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়, যা মুহূর্তেই পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে মার্কেটের একটি অংশ থেকে আগুনের ফুলকি দেখা যায়। একে একে আগুনের লেলিহান শিখা গোটা মার্কেট গ্রাস করতে শুরু করে। আতঙ্কিত লোকজন প্রথমে নিজেরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মাইজদী ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ ইয়াছিন মোল্লা বলেন, “ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের পাঁচটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। কয়েক ঘণ্টার আপ্রাণ চেষ্টার পর আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।”

তিনি আরও জানান, “আগুন কীভাবে লেগেছে তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত।”

এই অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২৫টিরও বেশি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে স্থানীয়দের মতে, ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে মুদি দোকান, ইলেকট্রনিকস শোরুম, টেক্সটাইল দোকান এবং বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিপণি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ ঘটনায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাদের অনেকেই জীবনের সঞ্চয় দিয়ে ব্যবসা চালাতেন, যা এক রাতেই ধ্বংস হয়ে গেছে।

অগ্নিকাণ্ডের পরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তারা উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি স্থানীয়দের নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ করে।

ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যবসায়ী বলেন, “আমার দোকান থেকে মাত্র কিছুক্ষণ আগে বের হয়েছিলাম। হঠাৎ আগুনের খবর শুনে ছুটে আসি। এসে দেখি আমার সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমি এখন কীভাবে এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠব, বুঝতে পারছি না।”

আরেকজন বলেন, “বছরের শুরুতেই এমন একটি ঘটনা আমাদের পুরো পরিবারকে দুশ্চিন্তার মধ্যে ফেলে দিল। পুনরায় ব্যবসা শুরু করতে কীভাবে পুঁজি পাব, জানি না।”

ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয় প্রশাসন এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে একটি বিশেষ টিম কাজ শুরু করেছে।

এছাড়া, বৈদ্যুতিক সংযোগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনার পরিকল্পনার কথাও জানানো হয়েছে।

এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শহরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থার ত্রুটি চিহ্নিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আগুন নেভানোর প্রাথমিক সরঞ্জাম ব্যবহার এবং সুরক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

এই ঘটনা শুধু ব্যবসায়ীদের নয়, পুরো শহরবাসীর জন্য একটি বড় ধাক্কা। ভবিষ্যতে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন সবাই।

-সাইমন ইসলাম

guest
0 মতামত সমুহ
Inline Feedbacks
View all comments