মূল্যস্ফীতির প্রভাব রেস্তোরাঁ ব্যবসায়, ক্রেতা কমেছে ৩০ শতাংশ

খাদ্য উপকরণের দাম বাড়ায় খাবারের দাম বেড়েছে। আর এতে রেস্তোরাঁয় ক্রেতা কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। মালিক সমিতি বলছে, এমন অবস্থা চলতে থাকলে ক্রেতা এবং বিক্রি কমে আগামীতে বেশিরভাগ রেস্তোরাঁই রুগ্ণ অথবা বন্ধ হবে। এখন আমদানি পর্যায়ে খাদ্য পণ্যে  শুল্ক হার কমালে এর প্রভাবে রেস্তোরাঁ ভোক্তার স্বস্তি আসবে বলছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। 

গেলো কয়দিন ধরেই রাজধানীর কাঁচাবাজারে আকাশছোঁয়া সবজির দাম। ৬০ টাকা থেকে শুরু করে সবজির মান ভেদে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৮০ টাকায়। কাঁচামরিচ, ধনেপাতা এবং টমেটোর মতো কৃষি পণ্য বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত কেজি।

এর ধাক্কা লেগেছে রেস্তোরাঁতেও। খরচ বাড়ায় মধ্যবিত্ত ভোক্তা রেস্তোরাঁয় যাওয়াটাই কমিয়েছেন। 

রেস্তোরাঁ মালিকরা বলছেন, দিনের বেশির ভাগ সময়ই আসন ফাঁকা থাকে।

ব্রকলির স্বত্বাধিকারী নুরুল আফসার বলেন, সকাল এক দাম, বিকেলে এক দাম এটা করা সম্ভব হয় না। কারণ হচ্ছে, আমাদের একটা মেনু সেট করা থাকে। আমি সকালে-বিকেলে দাম পরিবর্তন করতে পারি না। মানুষ যদি খেতে না আসে, তাদের নিয়েই আমার চিন্তা। তারা যদি ভালো থাকে তাহলে আমিও ভালো থাকবো।


সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্যেও মিললো নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি প্রমাণ। মালিক সমিতি বলছে নিত্য পণ্যের দাম মধ্যবিত্তের নাগালে আনতে এবং রেস্তোরাঁগুলোকে টিকিয়ে রাখতে পণ্যে শুল্ক ছাড় অথবা সংশোধন করতে হবে।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, আমরা আশা করে বসে আছি এই সরকার বাজারকে একটা স্বস্তির জায়গায় নিয়ে আসবে। সমস্ত অপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যগুলো পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় আমরা একই দামে পাবো সেটা নিশ্চিত করার দ্বায়িত্ব এই সরকারের। শুল্ক কমিয়ে হোক, কোনোটার শুল্ক বাড়িয়ে হোক, আমরা জানি না সরকার কী ব্যবস্থা নেবে। আমরা চাই সাশ্রয়ী মূল্যে টিকে থাকতে চাই।  

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি বলছে, সারাদেশে রেস্তোরাঁ সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ, আর কর্মী সংখ্যা ৩০ লাখ।