দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। দেশটির সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, থাইল্যান্ড থেকে আসা জেজু এয়ারের বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজটিতে থাকা ১৮১ জন আরোহীর মধ্যে মাত্র দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। বাকি ১৭৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলকে ‘স্পেশাল ডিজাস্টার জোন’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মক। তিনি নিজে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উদ্ধার কার্যক্রম তদারকি করেছেন।
অস্থায়ী সহায়তা ব্যবস্থা চালু
নিহতদের স্বজনদের সহায়তায় সিউল থেকে দুর্ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী মকপো রেলস্টেশন পর্যন্ত অস্থায়ী ট্রেন চালু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এই ট্রেনে যাত্রীদের জন্য কোনো ভাড়া লাগবে না। নিহতদের স্বজন, সরকারি কর্মকর্তা এবং উদ্ধারকাজে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এই সুবিধা পাবেন।
বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের বিবরণ
আজ রোববার (২৯ ডিসেম্বর) জেজু এয়ারের বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজটি ১৭৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু নিয়ে থাইল্যান্ড থেকে মুয়ানে ফিরছিল। তবে ল্যান্ডিংয়ের ঠিক আগে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে, তবে ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও আরোহী আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রাথমিক তদন্তের তথ্য
দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এর ফলেই উড়োজাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিধ্বস্ত হয়। তদন্ত কার্যক্রম চলছে, এবং পুরো ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য বিমানটির ব্ল্যাক বক্স খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
জাতীয় শোক ও সহমর্মিতা
দক্ষিণ কোরিয়ায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা জাতিকে শোকাচ্ছন্ন করেছে। দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে এবং দ্রুততম সময়ে পুরো ঘটনার কারণ উদঘাটনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মুয়ান বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট বন্ধ থাকায় যাত্রীদের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
-সাইমন ইসলাম