টানা দ্বিতীয়বার সাফজয়ী জাতীয় নারী ফুটবল দলে সাতক্ষীরারই ৩ তারকা। অধিনায়ক সাবিনা, দুই ডিফেন্ডার মাছুরা ও প্রান্তি। তাদের জয়ে খুশি সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। বলছেন, শুধু জেলার নয়; দেশের জন্য অবদান রাখছেন সাতক্ষীরার এই মেয়েরা।
জেলার লাবসা ইউনিয়নের খেজুরডাঙা গ্রামে সড়কের ধারে বাস, সাফ জয়ী ডিফেন্ডার মাছুরা পরিবারের। বাড়িতে মা ব্যস্ত অসুস্থ নাতি সামলাতে। আর বাবা মেয়ের নেপাল থেকে দেশে ফেরার খবর রাখছেন টিভি পর্দায়।
সাফ জয়ে খুশি গ্রামের মানুষ। চলছে মাছুরাকে নিয়ে আলোচনা। দেশের জন্য জয় এনেছে, এই ভালো লাগার শেষ নেই বলছেন অসুস্থ বাবা রজব আলী।
শহরের সুলতানপুরে বাড়িতে শুভেচ্ছায় সিক্ত আরেক ডিফেন্ডার আফঈদা খন্দকার প্রান্তির বাবা। সাফ জয়ের পেছনে সাতক্ষীরার তিন খেলোয়াড়ের ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বলছেন প্রান্তির বাবা, চ্যাম্পিয়ন হওয়া বড় গর্বের বলছেন মা।
সবুজবাগের বাড়িতে দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের বাড়িতে শুনসান নিরাবতা। জাতীয় পর্যায়ে খেলাধূলায় সাতক্ষীরা একটি অবস্থান তৈরি করেছে। প্রশিক্ষণ, স্টেডিয়াম আধুনিকায়ন ও ক্রীড়া কমপ্লেক্স করার দাবি ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের।
সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর তাজুল ইসলাম রিপন বলেন, জেলায় ভালো কোনো মাঠ নেই। এখান থেকে অনেক খেলোয়াড় ওঠার সুযোগ আছে। ক্রিড়া কমপ্লেক্স ছাড়া এটি সম্ভব নয়।
ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা জেলায় ফিরলে তাদের গণসংবর্ধনা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ক্রীড়া সংস্থার ব্যক্তিবর্গরা।