যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পকে খুব কমই দেখা গেছে। গতকাল রোববার ম্যাডিসন স্কয়ারে ট্রাম্পের সমাবেশে তাঁকে মঞ্চে দেখা গেছে। সাদা-কালো পোশাক পরে মঞ্চে আসেন মেলানিয়া। ট্রাম্পের হাত ধরে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন।
সমাবেশে বক্তব্যও দিয়েছেন তিনি। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এবারের নির্বাচনী প্রচার সমাবেশে মেলানিয়ার দেওয়া প্রথম বক্তব্য এটি।
গতকাল রোববার ম্যাডিসন স্কয়ারে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী সমাবেশ শুরু হওয়ার চার ঘণ্টা পর মেলানিয়া মঞ্চে আসেন। ট্রাম্পঘনিষ্ঠ এবং টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক তাঁকে মঞ্চে স্বাগত জানান।
যুক্তরাষ্ট্রে ‘জীবনযাত্রার মান কমে যাওয়া’ এবং ‘অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা’ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন মেলানিয়া।
এরপর আশার বাণী শুনিয়ে সাবেক এই ফার্স্ট লেডি বলেন, ‘চলুন, আমরা মার্কিন মহিমার ওপর ভিত্তি করে একটি অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে একসঙ্গে পথচলা শুরু করি। আসুন, আমরা এ মুহূর্তটিকে আঁকড়ে ধরি এবং ভবিষ্যতের কথা ভেবে দেশ গড়ি। এমন ভবিষ্যৎ, যেটা আমাদের প্রাপ্য।’
ট্রাম্পের প্রচার-প্রচারণা শুরু হওয়ার পর হাতে গোনা কয়েকটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন মেলানিয়া। তিনি রিপাবলিকানদের ন্যাশনাল কনভেনশনেও উপস্থিত ছিলেন, তবে কথা বলেননি। এর আগে গত জুলাইয়ে ট্রাম্পের ওপর হামলা হওয়ার পর মেলানিয়া তাঁর স্বামীকে সমর্থন জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। সেপ্টেম্বরে নিজের বইয়ের প্রচার চালাতে ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকার দেন মেলানিয়া।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের এবারের নির্বাচনী সমাবেশে এটি মেলানিয়ার প্রথম বক্তব্য।
মেলানিয়া ট্রাম্পকে মঞ্চে স্বাগত জানানোর আগে মাস্কও অল্প সময়ের জন্য বক্তব্য দেন। ট্রাম্প প্রশাসনের গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি বিভাগের ভূমিকা কী হতে পারে, তা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। ট্রাম্প ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে মাস্ককে গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব দেবেন। এ বিভাগের কাজ হবে সরকারি খরচ কমানো। মাস্ক বলেন, ‘সব সরকারি খরচই কর।’
আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের মাত্র ৯ দিন আগে ম্যাডিসন গার্ডেন স্কয়ারে সমাবেশটি করেন ট্রাম্প। এদিন সমাবেশে ট্রাম্প বক্তব্য দেওয়ার আগে প্রায় ৩০ জন বক্তা বক্তব্য দিয়েছেন। এর মধ্যে আছেন তাঁর রানিংমেট জে ডি ভ্যান্স, হাউস স্পিকার মাইক জনসন, নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র রুডি জুলিয়ানি।
বিভিন্ন জনমত জরিপ অনুযায়ী, নির্বাচনে কমলা ও ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে।