<

বার্নাব্যুতে বর্ণবাদী আচরণের শিকার ইয়ামালরা, তদন্তে রিয়াল

রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন বার্সেলোনার ফুটবলাররা। সবশেষ এল ক্লাসিকো অনুষ্ঠিত হয়েছিল মাদ্রিদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। সেখানেই বার্সার তিন ফুটবলার লামিনে ইয়ামাল, আনসু ফাতি ও আলেসান্দো বালদে বর্ণবৈষ্যমের শিকার হন।

এই ঘটনায় রিয়াল মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষ অবশ্য বিবৃতি দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে বার্সা ফুটবলারদের। ঘটনার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি নিজেরা লজ্জিত হয়েছে বলে জানায় লস ব্লাংকোস কর্তৃপক্ষ। এমনকি ইতোমধ্যে দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।

এল ক্লাসিকো ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার রেকর্ড গড়ার পরই বর্ণবাদের শিকার হন ইয়ামাল। ৭৭ মিনিটে করা সেই গোলের পর ইয়ামাল যখন উদযাপন করছিলেন, তখন রিয়ালের কিছু সমর্থক গ্যালারি থেকে বার্সা খেলোয়াড়দের উদ্দেশে বর্ণবাদী স্লোগান দিতে শুরু করেন।

রিয়াল মাদ্রিদের পাশাপাশি এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ। মাদ্রিদের সঙ্গে দোষীদের খুঁজে বের করার কাজ করবে বলে জানিয়েছে স্প্যানিশ পুলিশও। স্পেন সরকারের পক্ষ থেকেও দেওয়া হয়েছে বিবৃতি। যাতে জানানো হয়, দেশে কোনোভোবেই বর্ণবাদকে ঠাঁই দেবে না সরকার। এসবের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রয়েছে। দোষীদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) রিয়াল মাদ্রিদ এক বিবৃতিতে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে, রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ও খেলাধুলায় যেকোনো ধরনের বর্ণবাদ, ভিনদেশি বিদ্বেষ ও সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানায়। গতকাল রাতে স্টেডিয়ামে কিছু সমর্থকের তোলা স্লোগানের জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত।

এ ঘটনার তদন্ত শুরু করার ঘোষণাও দিয়েছে রিয়াল, এই ঘৃণিত ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে রিয়াল মাদ্রিদ তদন্তও শুরু করে দিয়েছে। এ ঘটনায় যাতে যথাযথ বিচার সম্পন্ন করা যায়, আমরা সেই ব্যবস্থাই নেব।

উল্লেখ্য, স্প্যানিশ ফুটবলে বর্ণবাদের ঘটনা নতুন কিছু নয়। রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র বেশ কয়েকবার এমন আচরণের শিকার হয়েছেন। ২০২৩ সালে ভিনিসিয়ুসকে বর্ণবাদী আক্রমণ করার ঘটনায় ভ্যালেন্সিয়ার তিন সমর্থককে আট মাসের জেলও দেওয়া হয়। এ সপ্তাহেই অনলাইনে ভিনিসিয়ুসের প্রতি ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে আটক করে স্পেনের পুলিশ।