নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় ছয় বছর আগে বিএনপি নেতা এরশাদ আলী খন্দকার হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেসাত হোসেনসহ (বীর প্রতীক) ২১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে নিহত এরশাদ আলীর স্ত্রী মাফিয়া খাতুন বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় মামলাটি করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর বিকেলে জাগানিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও নরনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা এরশাদ আলী খন্দকার প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন। এ ঘটনার অন্তত ছয় বছর পর গতকাল রোববার তাঁল স্ত্রী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়ায় এ মামলায় পূর্বধলা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদ ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ১২ জনকে। ওয়ারেসাত হোসেন ওই আসন থেকে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। গত নির্বাচনে তিনি অংশ নেননি। প্রায় দুই বছর ধরে তিনি অসুস্থ।
মামলার বাদী মাফিয়া খাতুন বলেন, ‘হত্যার ঘটনায় তখন রাজনীতির পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় মামলা করতে পারিনি। তাই মামলা করতে এত দিন দেরি হয়েছে।’
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট পূর্বধলার শ্যামগঞ্জ বাজারে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে শনিবার রাতে আরও একটি মামলা হয়েছে। তানজির আহাদ নামের এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ২৫ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয় ১৫ জনকে।
এ নিয়ে ১৭ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত জেলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৩৭টি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ১ হাজার ৬৩২ জনের নাম উল্লেখসহ ৩ হাজার ৮২৩ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
নেত্রকোনা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. লুটের রহমান বলেন, পূর্বধলায় দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হত্যা মামলা, অন্যটি নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে করা হয়েছে। মামলাগুলোর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।