<

ব্রাজিলের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী ঢাকা

উভয় দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদারেএবং বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ব্রাজিলের সাথে কাজ করতে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে ঢাকা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিনের সাথে মন্ত্রণালয়ে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে ঢাকার পক্ষ থেকে এ আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।

দক্ষিণ আমেরিকা তথা বিশ্বব্যাপী ব্রাজিলকে একটি শীর্ষ অর্থনৈতিক পাওয়ার হাউজ হিসাবে উল্লেখ করে উভয় পক্ষই দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য ব্যবধান কমানোর প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হন।

তারা পারস্পরিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নতির স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন।

তারা কৃষি, কৃষি-প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, বাংলাদেশী বিভিন্ন পন্যের জন্য বাণিজ্য সুবিধা যেমন তৈরি পোশাক (আরএমজি), পোশাক ও ওষুধের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা, নিয়ন্ত্রণ কাঠামো, সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র চিহ্নিত করেন।

দক্ষতা উন্নয়নে উভয় পক্ষই প্রকল্প অর্থায়ন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টির আগ্রহ প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্র সচিব দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে ব্রাজিলের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা স্মরণ করেন এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রায় অব্যাহত সমর্থনের জন্য ব্রাজিলকে ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ব্রাজিলের সাথে সম্পৃকত হওয়ার মাধ্যমে ঢাকায় ব্রাজিলের তিনটি বাণিজ্য মিশন এবং বিশেষ করে ২০২৪ সালে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতি ব্রাজিলের প্রভূত নেক আগ্রহ তৈরি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।

ব্রাজিলে শুল্ক সত্ত্বেও বাংলাদেশের উদ্যমী ব্যবসায়ী যারা ব্রাজিলের সাথে ব্যবসা করছে তারা সত্যিই ভাল করছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত অন্য বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদেরও ব্রাজিল সফর এবং ব্রাজিলের ব্যবসায়ীদের সাথে সংযুক্ত হতে উৎসাহিত করেন।

রাষ্ট্রদূত ফেরেস জানান, বাংলাদেশ এখনো ব্রাজিলের প্রাণীজ প্রোটিন, বিশেষ করে গরুর মাংসের বাজারে প্রবেশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারেনি।

স্বল্পমূল্যে বাংলাদেশিদের পুষ্টি সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ জন্য ব্রাজিলিয়ান মাংস আমদানির দিকে নজর দিতে পারে বলে পরামর্শ দেন তিনি।

উভয় পক্ষই জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির অংশ হিসেবে ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল এবং বাণিজ্য মিশন বিনিময় বৃদ্ধিতে সম্মত হয়।

বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক পরামর্শ (এফওসি)’র ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আলোকপাত করেন।