বাংলা, মারাঠি, পালি, প্রাকৃত ও অসমীয়া ভাষাকে ‘ধ্রুপদী ভাষা’র মর্যাদা প্রদানে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মোদি তার এক্স হ্যান্ডেলে এক বার্তায় বলেন, ‘বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। বিশেষত দুর্গাপূজার শুভ সময়ে, এটা খুবই আনন্দের বিষয়।’
তিনি বলেন, বাংলা সাহিত্য বছরের পর বছর অসংখ্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে।
মোদি বলেন, ‘বিশ্বের সব বাংলা ভাষাভাষীকে আমি অভিনন্দন জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে অসমীয়া ভাষা এখন ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাবে, যা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। অসমীয়া সংস্কৃতি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সমৃদ্ধ হয়েছে এবং এটি আমাদের সমৃদ্ধ সাহিত্যিক ঐতিহ্য উপহার দিয়েছে। ভবিষ্যতে এই ভাষা আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠুক। আমার অভিনন্দন।’
মোদি আরও বলেন, ‘মারাঠি হলো ভারতের গর্ব।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই অসাধারণ ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়ার জন্য অভিনন্দন। এই সম্মান মারাঠি ভাষার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক অবদানকে আমাদের জাতির ইতিহাসে স্বীকৃতি দেয়। মারাঠি সর্বদাই ভারতের ঐতিহ্যের একটি প্রধান ভিত্তি হয়ে ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাওয়ার পর আরও অনেকে এই ভাষা শিখতে অনুপ্রাণিত হবে।’
‘পালি ও প্রাকৃত হলো ভারতের সংস্কৃতির মূল ভিত্তি। এগুলো আধ্যাত্মিকতা, জ্ঞান ও দর্শনের ভাষা। এই ভাষাগুলোর সাহিত্যিক ঐতিহ্যও সুপরিচিত। ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে তাদের স্বীকৃতি তাদের কালজয়ী প্রভাবকে ভারতের চিন্তা, সংস্কৃতি ও ইতিহাসে সম্মানিত করে।’
মোদি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পর আরও অনেক মানুষ এই ভাষাগুলি সম্পর্কে জানার জন্য অনুপ্রাণিত হবে। এটি নিঃসন্দেহে একটি আনন্দের মুহূর্ত।’