ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানবে কাল রাতে, ট্রেন চলাচল ১৪ ঘণ্টা বন্ধ

ঘূর্ণিঝড় দানা আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুক্রবার ভোরের দিকে ভারতের ওডিশার ধামরা বন্দর ও পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপে আছড়ে পড়তে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মাথায় রেখে শিয়ালদহ ও হাওড়া সেকশনে ১৪ ঘণ্টার জন্য সব লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বিশ্বাস জানান, ঘূর্ণিঝড়টি যখন আঘাত হানবে, তখন এটির বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার।

আবহাওয়া দপ্তরের সর্বশেষ বার্তায় বলা হয়েছে, সন্ধ্যা ছয়টায় ঘূর্ণিঝড় দানা ওডিশার পারাদ্বীপ থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দূরে আর পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। এই দানার প্রভাবে ইতিমধ্যে ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। তীরে প্রচণ্ড ঢেউ আছড়ে পড়ছে।

পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র দীঘা, মন্দারমণি, তাজপুরের সব আবাসিক হোটেল থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদিকে সাগরদ্বীপের তীর্থস্থান গঙ্গাসাগরগামী তীর্থযাত্রীদের আসতে দেওয়া হয়নি। তাঁদের কচুবেড়িয়া থেকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেছে রাজ্য প্রশাসন। বলা হয়েছে, সাগর শান্ত না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের গঙ্গাসাগরে যেতে দেওয়া হবে না।

অন্যদিকে দানা যাতে আঘাত করতে না পারে, সেই লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গের শিয়ালদহ ও হাওড়া সেকশনে সব লোকাল ট্রেনের চলাচল বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে শিয়ালদহ ডিভিশন থেকে ১৯০টি লোকাল ট্রেনের যাত্রা বাতিল হয়েছে। একই সঙ্গে বন্ধ থাকবে দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলও। শালিমার ট্রেন ডিপোয় অবস্থান করা ট্রেনগুলোর চাকা লাইনের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। তবে আজকেও অনেক দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেছে রেল দপ্তর।