বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ সালেহ ওয়াই রামাদান জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর বড় মগবাজারে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হয়। পরে জামায়াতের আমির ও ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন।
জামায়াতের আমির বলেন, ‘বহুদিন ধরে ফিলিস্তিন একটি নির্যাতিত দেশ। তাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চলছে। দিনের পর দিন নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দল-মতনির্বিশেষে সব মানুষের সমর্থন রয়েছে।’
ফিলিস্তিনের জন্য দোয়া, ভালোবাসা ও সমর্থন বর্তমানের মতো ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমরা চাই, ফিলিস্তিন একটি জাতিরাষ্ট্র হিসেবে পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে বিশ্বের বুকে দাঁড়াক। কারণ, এই জায়গাটা অসংখ্য নবী-পয়গম্বরের স্মৃতিবিজড়িত স্থান। মুসলমানদের প্রথম কিবলা বাইতুল মুকাদ্দাস এই মাটিতেই।’
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ সালেহ ওয়াই রামাদান বলেন, ‘ফিলিস্তিন, বিশেষ করে গাজা উপত্যকার প্রতি বাংলাদেশের জনগণের অর্থবহ ভালোবাসা, সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য আমি ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সেই সঙ্গে আমি ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আশা প্রকাশ করছি, ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বাংলাদেশ বিশেষ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অর্থবহ সমর্থন, সাহায্য, সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’
সৌজন্য সাক্ষাতের সময় জামায়াতের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের ও আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মা’ছুম, রফিকুল ইসলাম খান, আবদুল হালিম ও এহসানুল মাহবুব জুবায়ের; কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ, আবদুর রব, মুহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, নূরুল ইসলাম, মো. সেলিম উদ্দিন ও মোবারক হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।