ইলিশের প্রজনন মৌসুম রক্ষায় ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তবে বাউফল উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর চল্লিশ কিলোমিটার এলাকার দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবাধে চলছে ইলিশ ধরার মহোৎসব।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ১৩ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা জারির দিন থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অর্ধশত নৌকা নিয়ে অসাধু জেলেরা অবাধে মাছ শিকার করছেন। তাদের জালে উঠছে অধিকাংশই মা ইলিশ। সরকারের নিষেধাজ্ঞা মানতেই চায় না এসব অসাধু জেলেরা৷ প্রতিদিন বিভিন্ন সময় নদীতে ঘুরলেও সাংবাদিকদের সাথে প্রশাসনের কারও সাথে দেখা হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে ইলিশ ধরার ফলে ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধি ক্রমাগত কমে যাচ্ছে। যার ফলে সারাবছর বাজারে চাহিদানুযায়ী ইলিশ পাওয়া যায় না। যখন ইলিশের চাহিদা বেশি থাকে তখন দামও বেড়ে যায়।
মৎস্য বিভাগের অভিযানের তথ্যানুযায়ী, গত ১৩ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত সাত দিনে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক কুমার কুন্ডু তিনটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন এবং উপজেলা মৎস্য অফিসের ১৮টি অভিযানে সহযোগিতা করেছেন। অভিযানে ১৯টি মামলা করা হয়েছে এবং ১৯ জেলে গ্রেফতার হয়েছে৷ এ সময় ০.৯২ ম্যাট্রিক টন ইলিশ, ৩ হাজার ৪শ’ ৬৫ মিটার জাল ও চারটি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে৷
নদীর অভয়ারণ্য মা ইলিশের জন্য সুরক্ষিত রাখতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করেছেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম । তিনি বলেন, চেষ্টা করি কিন্তু দেখি কী করা যায় । ৬ টি ট্রলার হলে হয়তো অসাধু জেলেদের দমিয়ে রাখা যেতো।
এ বিষয়ে বাউফলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বশির গাজী বলেন, অভিযান সফল করার লক্ষ্যে একজন ট্যাগ অফিসার ও একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানানা তিনি।