মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পশ্চিম উপকূলে বুধবার রাতে আছড়ে পড়ে শক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড় হ্যারিকেন মিল্টন। এ সময় ঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার।
হারিকেন মিল্টনের আঘাতের পর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ফ্লোরিডার ৩০ লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়াও রাজ্যটির পূর্ব উপকূলে সেন্ট লুসি কাউন্টিতে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। ফ্লোরিডাজুড়ে বড় রকমের হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, হ্যারিকেন মিল্টন এই শতাব্দীর অর্থাৎ গেলো ১০০ বছরের মধ্যে মার্কিন উপকূলে আছড়ে পড়া সবচেয়ে বিধ্বংসী ঝড়গুলোর একটি হতে পারে।
মিল্টনকে ক্যাটাগরি-৫ হ্যারিকেন হিসেবে ঘোষণা করা হলেও উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়ার সময় ঝড়টি ক্যাটাগরি-৩ এ পরিণত হয়। সাফির স্যাম্পসন স্কেলে ক্যাটাগরি-৫ হলো সবচেয়ে শক্তিশালী মাত্রার হারিকেন।
মার্কিন আবহাওয়া অফিস বলছে, হ্যারিকেন মিল্টন ফ্লোরিডায় তাণ্ডব চালানোর পর শক্তি হারিয়ে ক্যাটাগরি ১ হারিকেন হিসেবে আটলান্টিক মহাসাগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার ফ্লোরিডার ৫১টি শহরে জরুরি অবস্থা জারি হয়। হ্যারিকেন আতঙ্কে মঙ্গলবার ও বুধবার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে হাজার হাজার মানুষ অন্যত্র পালিয়ে যান। এর ফলে বেশ কিছু রাস্তায় গাড়ির জট তৈরি হয়। বুধবার রাতেও রাস্তাগুলোতে জট ছিলো।
এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ফ্লোরিডার টাম্পা উপসাগরীয় অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
টাম্পা পুলিশ প্রধান লি বার্কাও জানান, বুধবার রাতে একটি টাম্পা শহরের একটি বাড়ি থেকে ১৫ জনসহ বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার টাম্পার মেয়র জেন ক্যাস্টর বাসিন্দাদের রাস্তায় বের না হয়ে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটি (ঝড়) এখনও শেষ হয়নি।
ঝড়ের কারণে ফ্লোরিডার স্কুল-কলেজ মঙ্গলবারই বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি বন্ধ ছিলো রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।