যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সই করা বিতর্কিত নির্বাহী আদেশ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সই করা বিতর্কিত নির্বাহী আদেশ, যা জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের জন্য জারি করা হয়েছিল, সেটি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন দেশটির একটি ফেডারেল আদালত।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি), ওয়াশিংটনের সিয়াটলের ফেডারেল বিচারক জন কফেনর এই আদেশ দেন। আদালতে শুনানির সময় তিনি বলেন, “এটি স্পষ্টতই একটি অসাংবিধানিক আদেশ”।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, বিচারকের এই সিদ্ধান্তের ফলে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ কার্যকর হওয়া আপাতত ১৪ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। এর মধ্যে বিরোধীদের পক্ষ থেকে ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২২টি রাজ্যের ডেমোক্র্যাট অ্যাটর্নি জেনারেলরা ট্রাম্পের এই আদেশকে “নাগরিকত্ব আইনের সরাসরি লঙ্ঘন” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
অন্যদিকে, এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
উল্লেখযোগ্যভাবে, গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর একসঙ্গে একশ’রও বেশি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত ছিল—নথিপত্রহীন অভিবাসীদের সন্তানদের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার সংক্রান্ত আইন বাতিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনী অনুযায়ী, দেশটির ভূখণ্ডে জন্মগ্রহণকারী প্রত্যেক ব্যক্তি নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার পেতেন। তবে ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশে এই আইন বাতিল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যেমন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তেমনি সংবিধান বিশেষজ্ঞরা একে যুক্তরাষ্ট্রের মৌলিক অধিকার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর হুমকি হিসেবে দেখছেন।
-সায়মন ইসলাম