নেত্রকোনায় গত খাটের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় দিলীপ সাহাকে
গত বৃহস্পতিবার নেত্রকোনায় ডিগ্রী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত আবু আব্বাস শিক্ষক রাত ১০টার দিকে দিলীপ কুমার সাহা ঘুমাতে যান। শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে গৃহপরিচালিকা তাকে ডাকাডাকি করে, কিন্তু কোন সাড়া না পাওয়ায় তিনি চলে যান। এরপর, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দিলীপের স্ত্রী বিভা সাহা ঢাকার বাসা থেকে ফিরে এসে দেখেন, ঘরের দরজা তালাবদ্ধ। এ সময় তিনি দিলীপ সাহাকে ফোন করে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের সাহায্যে দরজার তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তিনি খাটের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় দিলীপ সাহাকে পড়ে থাকতে দেখেন। দ্রুত তাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।। শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে গৃহপরিচালিকা তাকে ডাকাডাকি করে, কিন্তু কোন সাড়া না পাওয়ায় তিনি চলে যান। এরপর, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দিলীপের স্ত্রী বিভা সাহা ঢাকার বাসা থেকে ফিরে এসে দেখেন, ঘরের দরজা তালাবদ্ধ। এ সময় তিনি দিলীপ সাহাকে ফোন করে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের সাহায্যে দরজার তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তিনি খাটের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় দিলীপ সাহাকে পড়ে থাকতে দেখেন। দ্রুত তাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দিলীপ কুমারের ছেলে ও মেয়ে ঢাকায় বসবাস করেন, এবং কয়েকদিন আগে তার স্ত্রী ঢাকা থেকে ছেলের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। সে সময় দিলীপ সাহা বাসায় একা ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে কিছু খোয়া গেছে কি না, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান জানিয়েছেন, “নিহতের লাশ উদ্ধারসহ বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। আমরা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একাধিক পুলিশ টিম মাঠে কাজ করছে। এছাড়া, আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
পুলিশ প্রশাসন তদন্তে ঘিরে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার করার চেষ্টা করছে, এবং কোনোভাবেই অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। ঘটনার পর এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক এবং উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
-সায়মন ইসলাম