বেগম খালেদা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে
বেগম খালেদা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। তবে মামলার আরেক আসামি আপিল না করায় রায়ের দিন পিছিয়েছে আদালত। আপিল বিভাগ জানিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এই বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে তৃতীয় দিনের মতো আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানির একপর্যায়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়, অপর আসামি সালিমুল হক কামাল এই মামলায় আপিল করেননি। এ কারণেই রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা দাবি করেন, খালেদা জিয়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের কোনো টাকা আত্মসাৎ করেননি। বরং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তাকে দণ্ডিত করা হয়েছে। তারা আরও বলেন, খালেদা জিয়া ট্রাস্টের সদস্য নন, এবং তার কোনো সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয়নি।
এর আগে, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। একইসঙ্গে, মামলার অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পরে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। এরপর আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল মঞ্জুর করা হয় এবং মামলার চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়।
শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করলেও, আদালতে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি এখনো হয়নি। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আশা করছেন, সত্য উদঘাটনের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।
-সায়মন ইসলাম