২০২৫ সালে হজযাত্রী প্রেরণের ক্ষেত্রে এজেন্সিগুলোর কোটা ১ হাজার থেকে কমিয়ে ৫০০ জন করার দাবি জানিয়েছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)
২০২৫ সালে হজযাত্রী প্রেরণের ক্ষেত্রে এজেন্সিগুলোর কোটা ১ হাজার থেকে কমিয়ে ৫০০ জন করার দাবি জানিয়েছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। তারা বলছেন, কোটার সংখ্যা না কমালে সুষ্ঠুভাবে হজ কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়বে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এই দাবি জানান।
হাবের নেতারা বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি এজেন্সি ৫০০ জন হজযাত্রী সমন্বয়ের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। কিন্তু হঠাৎ করে সরকার সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ১ হাজার নির্ধারণ করে। এর ফলে এজেন্সিগুলো বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
তারা উল্লেখ করেন, কোটার সংখ্যা বাড়ানোর ফলে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হবেন হজযাত্রীরা। কারণ, হজ কার্যক্রম পরিচালনায় যাত্রীদের সঠিক সেবা ও সমন্বয়ে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তারা সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান, এজেন্সিগুলোর সক্ষমতা ও বাস্তবতা বিবেচনা করে কোটা কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।
অন্যদিকে, ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিটি বাংলাদেশি হজ এজেন্সির জন্য ন্যূনতম ১ হাজার যাত্রীর কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়।
হাব নেতারা জানান, কোটা বাড়ানোর ফলে ছোট এজেন্সিগুলোর জন্য এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা কঠিন হয়ে যাবে। তারা আরও বলেন, হজ কার্যক্রমকে সুষ্ঠু ও সফলভাবে পরিচালনার জন্য এজেন্সিগুলোর সক্ষমতা এবং যাত্রীদের সুবিধার দিক বিবেচনা করা অত্যন্ত জরুরি।
-সায়মন ইসলাম