অবশেষে চট্টগ্রাম আদালত এর পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) কার্যালয়ের সামনের বারান্দা থেকে চুরি যাওয়া মামলার নথির হদিস পাওয়া গেছে
অবশেষে চট্টগ্রাম আদালত এর পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) কার্যালয়ের সামনের বারান্দা থেকে চুরি যাওয়া মামলার নথির হদিস পাওয়া গেছে। পুলিশ পাথরঘাটা এলাকার একটি ভাঙারির দোকান থেকে ৯ বস্তা নথি উদ্ধার করেছে এবং চুরির ঘটনায় একজনকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের পাথরঘাটা শতীশ বাবু লেন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব নথি উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম জানিয়েছেন, খোয়া যাওয়া নথিগুলো পাথরঘাটার একটি ভাঙারির দোকানে কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছিল। গ্রেপ্তার হওয়া রাসেল নামে এক ব্যক্তি আদালত চত্বরে চা বিক্রি করতেন। তাকে বাকলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি নথিগুলো ১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, পুলিশ ভাঙারির দোকানে অভিযান চালিয়ে নথিগুলো উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
পুলিশ জানায়, চুরি যাওয়া নথিগুলো মহানগর দায়রা জজ আদালতের অধীনে থাকা ৩০টি আদালতের ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথি। এর মধ্যে হত্যা, ডাকাতি, মাদক, বিস্ফোরক এবং চোরাচালানের মতো গুরুতর অপরাধের মামলার নথিও রয়েছে। পিপি অফিসে জায়গার অভাবে নথিগুলো ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে বারান্দায় পলিথিনে মুড়িয়ে রাখা হয়েছিল। আদালতের অবকাশকালীন সময়ে, ১৩ থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এসব নথি চুরি হয়ে যায়।
ঘটনার পর চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মফিজুল হক ভূঁইয়া কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পুলিশের তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রাসেলকে শনাক্ত করা হয়। চুরি যাওয়া নথির খবর পেয়ে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তার ঘাটতিকে দায়ী করছেন এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে কঠোর নজরদারির আহ্বান জানিয়েছেন।
-সায়মন ইসলাম