ঢাকার শনির আখড়ার মাইক্রোবাস চালক মো. হাবিবুল্লাহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন
ঢাকার শনির আখড়ার মাইক্রোবাস চালক মো. হাবিবুল্লাহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ২০ জুলাই সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার আগে স্ত্রী আয়েশা বেগমের নিষেধ সত্ত্বেও তিনি দেশের জন্য জীবন উৎসর্গের কথা বলেন। আন্দোলনকারীদের জন্য খাবার রান্নার সময় পুলিশ দুই ডেক খিচুড়ি নষ্ট করে দেয়। পালানোর সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়েন হাবিবুল্লাহ।
পুলিশের ভয়ে কেউ সাহস করে তাঁকে উদ্ধার করেনি। পরে পথচারীরা তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মরদেহ দুই দিন মর্গে ফেলে রাখা হয় এবং ২০ হাজার টাকা দিয়ে পরিবার বুঝে নেয়। কবরস্থান না পেয়ে তাঁকে জুরাইনে দাফন করা হয়।
হাবিবুল্লাহর মৃত্যুর পর ছেলে রিয়াদ সংসার চালাতে পড়াশোনা ছেড়ে কারখানায় কাজ শুরু করেন। পরিবারের আর্থিক দুরবস্থার কারণে তাঁরা সরকারি সহযোগিতার দাবি জানাচ্ছেন। হাবিবুল্লাহর মৃত্যু নিয়ে পরিবার চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগ তুলেছে।
-সাইমন ইসলাম