বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাফিক জ্যাম: অফিস টাইমে ঢাকার যানবাহনের গড় গতি ৪,৫ কিলো:মিটার

বিশ্বের ট্রাফিক জ্যামের শীর্ষে ঢাকার অবস্থান। 

ট্রাফিক ছাড়াও জীবন হতে পারে, এমন টা হয়তো ঢাকায় বাসবাসরত কেউ কল্পনাই করতে পরে না।  কথায় আছে দিল্লি বহুত দূর,বাস্তবে বাংলাদেশের ঢাকায় ট্রাফিকে আপনার গন্তব্য তার থেকেও দূরে। কারন প্লাস ওয়ান জার্নালের গবেষনায় রয়েছে একজন সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ ঘন্টায় ৫,১  কিলোমিটার বেগে হাটতে পারে,মজার ব্যাপার হচ্ছে পিক টাইমে বা অফিস টাইমে ঢাকার যানবাহনের গড় গতি ৪,৫ কিলোমিঃটার। আসুন, একটু প্রাকটিকালি বোঝার চেষ্টা করি, ধরেন পিক টাইমে বা অফিস টাইমে আপনি আর আমি এয়ারপোর্ট থেকে গুলিস্তান যাব, যার মধ্যখানি দূরূত্ব মাত্র  ১২,৫ কিলোমিটার যেটি ঢাকা বাসির অন্যতম যাতায়েতের রাস্তা। আমাদের গন্তব্যে  বাসে করে পৌছাটে আনুমানিক সময় লাগবে না হলেও  দেড় ঘণ্টার ও বেশি, কিন্তু হিসাব করে দেখেন পায়ে হেটে গেলেও প্রায় একই সময় লাগবে।

নামোবিও’র প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইন্ডেক্স ২০১৯ এর তথ্য অনুযায়ী- বিশ্বের ট্রাফিক জ্যামের শীর্ষে ঢাকার অবস্থান।  এই ট্রাফিক থেকে মুক্তি পেতে কতই না উন্নয়ন, তারপরেও যানজট এর  তেমন পরির্তনই আসেনি। এদিকে আমাদের যানজট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কত অর্থ ব্যয় এবং উন্নয়ন হয়েছে  একটু লক্ষ করি  –- ৯ টি উরাল সেতু ও সম জাতীয় অবকাঠামোর জন্য ১৯ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা এবং মেট্রোরেল এ ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা এবং বি,আর,টি নির্মানে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা ব্যায়। কিন্তু এতে তেমন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসেনি।

ঢাকা জেলার আয়তন ১৪৬৩,৬০বর্গ কিলোমিটার। ২০২২ এ্রর  পি,ইসি মতাবেক ঢাকার জনসংখ্যা ৪ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ১০৭ জন।বিশাল অংকের এই জনসংখা সামালানো কষ্ট সাধ্য হলেও,প্রতিদিন ৮২ লাখ কর্মঘন্টা নষ্ট  এবং  বিশ্ব ব্যাংক এর মতে যার কারনে একদিনে আর্থিক ক্ষতি প্রায় ৩-৫ বিলিয়ন ডলার যা হতাশা জনক । এর মূল কারন অপরিকল্পিত সরক ব্যাপস্থাপনা বা সল্প এই স্থানে বিশাল জনসখ্যা কে একঘেয়েমী দোষ দেওয়াও চলে না। এর পিছনে যেই অন্যতম কারন রয়েছে তা হলো ট্রাফিক আইন। দেশে ট্রাফিক আইন বহাল থাকলেও সেটা পূর্নরূপে বাস্তবায়ন হচ্ছে তো? এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে গেলে একটু পিছনে যেতে হবে সময় ৩ নভেম্বর ২০২৩- ঢাকামহানগর ডিএম্পির পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ মাত্র একদিনে অভিজান চালিয়ে আইন লজ্ঞন কারি দের বিরুদ্ধে এক হাজার ৬২ টি মামলা এবং যার খতিপূরন হিসেবে ৬৩ লাখ টাকা জরিমানা হয়। বোঝার আর বাকি কি থাকে?  ট্রাফিক পুলিশ কতটা অশতর্কিত।  যার ফলসূরপ লোকাল বা্সের  অনিয়ম, যেখানে সেখানে যাত্রী উঠানো নামানো এবং ফুট ওভার ব্রিজ ব্যাবহার না করে  জনগণ সরাসরি  ব্যাস্ত রাস্তার ওপড় দিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে। এটাও আবার সরক দূরর্ঘটনার মূল কারন। রোড নিরাপত্তা সংস্থা সেফটি ফাউন্ডেশনের মতে সরক দূর্ঘটনায় ২০২০ সালের মৃত্যু সংখ্যা ১৯৯ জন, ২০২১-এ ১৩৭জন এবং ২০২৩-এ ২৪৬ জন। আশ্চর্যকনক হলেও সত্য দেশে সরকদূরর্ঘটনায় যত মানুষ মারা যায় তার ২৫ শতাংশুই ঢাকায়। কিন্তু কেন এই অনিয়ম? ঘুষ না দিলে সেবা পাওয়া যায় না। টি আই বির জরিপে আইনশৃক্ষলা  ট্রাফিক বাহীনি ঘুষখর হিসেবে অন্যতম। শুধু  উন্নতি নয়, ট্রাফিক আইন সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন না হলে পরিবর্তন আনা অসম্ভব। 

-সাইমন ইসলাম

guest
0 মতামত সমুহ
Inline Feedbacks
View all comments