উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বইছে কনকনে হিমেল হাওয়া, পাহাড় থেকে আসা ঠান্ডা বাতাসে শীতের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে।
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বইছে কনকনে হিমেল হাওয়া, পাহাড় থেকে আসা ঠান্ডা বাতাসে শীতের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। ভোরের কুয়াশায় মোড়ানো প্রকৃতিতে শুভ্র শিশিরের বিন্দুগুলো দোল খাচ্ছে ঘাসের ডগায়। ক্রমশ নিম্নমুখী তাপমাত্রা শীতের অনুভূতিকে আরও তীব্র করে তুলছে। মধ্যরাত থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে যাচ্ছে পুরো এলাকা।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে ভোরবেলা যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের কাপড়ের চাহিদা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য গরম পোশাক কিনতে অভিভাবকরা ভিড় করছেন দোকানে। দিনের বেলা তাপমাত্রা খানিকটা সহনীয় থাকলেও সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় প্রকৃতি যেন আরও বেশি কাঁপতে শুরু করে।
শীতজনিত রোগবালাইও বাড়ছে। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু ও বৃদ্ধদের ভিড় লেগে রয়েছে। শীতের প্রকোপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, যা চিকিৎসকদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, শীতকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোষক কারিগররা। শীতের প্রস্তুতি হিসেবে তারা কয়েক মাস আগেই কাজ শুরু করলেও এখন তাদের কাজের চাপ দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরাও দোকানে শীতের পোশাক মজুত করছেন এবং বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে। শীতের এই প্রকোপে জীবিকার সঙ্গে জড়িত অনেকের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হলেও প্রকৃতির এই পরিবর্তন অনেকের জন্য চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে উঠেছে।
-সাইমন ইসলাম