বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে মনোহরগঞ্জ বাজার এলাকায় উপজেলা সদরে বিএনপির এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে যুবদলের সভাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে মনোহরগঞ্জ বাজার এলাকায় উপজেলা সদরে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে, যার ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
জানা গেছে, বিকেলে মনোহরগঞ্জ সরকারি কলেজ অডিটরিয়ামে আবুল কালাম সমর্থিত যুবদলের নেতাকর্মীদের সভায় যোগ দিতে কুমিল্লা জেলা যুবদলের নেতারা উপস্থিত হন। সভাটি শুরু হওয়ার পরপরই কর্নেল (অব.) আজিম সমর্থিত নেতাকর্মীরা শোডাউন করে মিছিল বের করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষ চলাকালে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ঘটায়। সংঘর্ষের সময় কুমিল্লা থেকে আসা জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা সভাস্থলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হয়ে উঠলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
পুলিশ লাঠিচার্জ করে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। সেনাবাহিনী এবং পুলিশের সমন্বিত উপস্থিতিতে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় অবরুদ্ধ নেতাকর্মীরা সভাস্থল ত্যাগ করেন।
মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপুল চন্দ্র দে বলেন, “যুবদলের একটি সভাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। আমরা পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনেছি এবং বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”
এই সংঘর্ষে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর হস্তক্ষেপের ফলে এলাকায় স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে।
-সাইমন ইসলাম