শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
১৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রাজনৈতিক বিরোধের জেরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মারধরে পাভেল মিয়া (৩০) নামের এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রাজনৈতিক বিরোধের জেরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মারধরে পাভেল মিয়া (৩০) নামের এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন।

রূপগঞ্জে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হামলায় ছাত্রদল নেতা নিহত, উত্তেজনায় ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রাজনৈতিক বিরোধের জেরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মারধরে পাভেল মিয়া (৩০) নামের এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার জেরে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত পাভেল মিয়া ছিলেন কাঞ্চন পৌরসভা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক আহ্বায়ক। তিনি কৃষ্ণনগর এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে।

ঘটনা কীভাবে ঘটেছে

পুলিশ, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে কাঞ্চন পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা শুভর সঙ্গে ছাত্রদলের সদস্যসচিব আমিনুল ইসলামের তর্কবিতর্ক হয়। এ তর্কে যোগ দেন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. বায়জীদ।

তর্কের একপর্যায়ে উভয় পক্ষ উত্তেজিত হয়ে পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে দেখা করার কথা বলে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বায়জীদ তাঁর দলবল নিয়ে আমিনুলকে খুঁজতে পৌরসভা এলাকায় আসেন। এ সময় একটি মন্দিরের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন পাভেল মিয়া।

বায়জীদ ও তাঁর সঙ্গীরা পাভেলকে একা পেয়ে বেধড়ক মারধর করেন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

উত্তেজিত জনতার প্রতিক্রিয়া

পাভেলের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পর তাঁর অনুসারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তারা বায়জীদ, শুভ এবং তাঁদের সমর্থকদের ঘরবাড়িতে হামলা চালান। তিনটি টিনের ঘরে আগুন দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

পুলিশের বক্তব্য

নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) মেহেদী ইসলাম বলেন, “বিএনপি নেতাদের হামলায় ছাত্রদল নেতা পাভেল নিহত হয়েছেন। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

পরিবারের অভিযোগ

নিহত পাভেলের বড় ভাই শাহিন মিয়া জানান, “গত রাতে উত্তেজনা শুরু হলে আমি নিজে দুই পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাই। আজ সকালে নেতাদের নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু বায়জীদ তা উপেক্ষা করে দলবল নিয়ে আমিনুলকে খুঁজতে বের হন এবং পাভেলকে হত্যা করেন।”

অভিযুক্তদের সন্ধান চলছে

ঘটনার পর থেকে বায়জীদ ও শুভ এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে।

এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি। তবে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এলাকায় পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

guest


0 মতামত সমুহ
Inline Feedbacks
View all comments