নওগাঁয় বিশুদ্ধ নিরাপদ খাদ্য আইনের পৃথক ২টি মামলায় দুই হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকের ৬ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৫ টার দিকে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, নওগাঁ শহরের দয়ালের মোড় এলাকার হোটেল সাত ভাই চাম্পার মালিক আমিরুল ইসলাম ও রুবির মোড় এলাকার পঞ্চ হোটেল এন্ড রেস্তোরাঁর মালিক মারুফ আহমেদ। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে দণ্ডাদেশের ৩ লাখ টাকা করে মোট ৬ লাখ টাকা আদায় করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সকালে মামলা দুটিতে আইনজীবীদের মাধ্যমে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে উপস্থিত হয়ে আসামীরা জামিনের প্রার্থনা করেন। আদালতের বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে আমিরুল ইসলাম ও মারুফ আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তাৎক্ষণিক আইনজীবীদের মাধ্যমে আদালতে দোষ স্বীকারের প্রার্থনা করলে বিকেল ৫টায় অভিযুক্তদের ৩ লক্ষ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।
নওগাঁ বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বেঞ্চ সহকারী খোরশেদ আলম বলেন, তাদের কাছ থেকে জরিমানা আদালতের নেজারত শাখায় জমা দেয়া হয়েছে। পরে আদালতের বিচারক ওই দুইজনকে মামলা থেকে মুক্তি দিয়েছেন। জনস্বার্থে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর শহরের বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁয় অভিযানে হোটেল সাত ভাই চাম্পায় পোকামাকড় যুক্ত ছয় লিটার দুধ নষ্ট অবস্থায় পাওয়া যায়। এছাড়াও পঞ্চ হোটেল এন্ড রেস্তোরাঁর রান্না ঘরে ৫ কেজি শুকনা ও ১ কেজি নষ্ট কাঁচামরিচ পাওয়া যায়। যা নিরাপদ খাদ্য আইনানুযায়ী অপরাধ হিসেবে গণ্য হওয়ায় দুই হোটেলের মালিক আমিরুল ইসলাম, মারুফ আহমেদের বিরুদ্ধে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে নিয়মিত মামলা দায়ের করেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা চিন্ময় প্রামানিক।