<

তাসকিন-মোস্তাফিজের আট উইকেট, তবুও নবি-শাহিদির ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহ আফগানদের

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ২৩৬ রানের টার্গেট দিয়েছে আফগানিস্তান। বুধবার (৬ নভেম্বর) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগান দলপতি হাশমতউল্লাহ শাহিদি। তাসকিন-মোস্তাফিজের পেস তাণ্ডবে শুরুতেই খেই হারায় আফগানরা। দলীয় ৭১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে তারা। এরপর নবি-শাহিদির জোড়া অর্ধশতকে ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। সর্বোচ্চ ৮৪ রান আসে নবির ব্যাট থেকে।

টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা বাংলাদেশকে শুরুতেই উইকেট এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরা রহমানউল্লাহ গুরবাজকে। অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান। বোলিংয়ে এসে দ্বিতীয় বলেই উইকেট পেয়ে যান মোস্তাফিজ। ১২ বলে ২ রান করা রহমত শাহ ক্যাচ দেন মুশফিকের হাতে। এখানেই থামেননি মোস্তাফিজ, নিজের পরের ওভারে দুই উইকেট তুলে নেন তিনি। একে একে বিদায় করেন সাদিকুল্লাহ আতাল ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে।

এরপর কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে আফগানিস্তান। গুলবাদিন নাইব ও হাশমাতুল্লাহ শহিদি মিলে গড়েন ৬১ বলে ৩৬ রানের জুটি। অবশ্য এই জুটি ভেঙে দেন তাসকিন আহমেদ। সাজঘরে ফেরান ৩২ বলে ২২ রান করা নাইবকে।  

৭১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে অনেকটাই চাপে পড়ে যায় আফগানিস্তান। কিন্তু এবার শক্ত হাতেই দলের হাল ধরেন শহিদি ও মোহাম্মদ নবি। এই দুজনের জুটিতে এগিয়ে যেতে থাকে আফগানিস্তান। দুজনেই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।  

জুটির সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর এটি ভাঙেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১২২ বলে ১০৪ রানের এই জুটি ভাঙেন তিনি শহিদীকে বোল্ড করে। ৯২ বলে ৫২ রান করে ফেরেন হাশমাতুল্লাহ। ঝড়ো ব্যাটিং শুরুর আগেই রশিদ খানকে ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজ।  

রশিদকে ফিরিয়ে নিজের প্রথম উইকেট পান শরিফুল। ১১ বলে ১০ রান করেন রশিদ। ম্যাচের ৪৮তম ওভারে নবিকে আউট করেন তাসকিন। আউট হবার আগে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭৯ বলে ৮৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ দিকে ২৮ বলে ২৭ রান করে আফগানদের সংগ্রহ আরও একটু বাড়িয়ে দেন নাগাইলি খারোতে। শেষ পর্যন্ত ২৩৫ রানে থামে তাদের ইনিংস।

অলআউট হওয়া আফগানদের ১০ উইকেটের ৯টিই নিয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা। এর মধ্যে কাটারে ধার ফেরা মুস্তাফিজ ১০ ওভারে ৫৮ ও তাসকিন আহমেদ ১০ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে চারটি করে উইকেট নিয়েছেন। এক উইকেট নিয়েছেন পেসার শরিফুল ইসলাম।