ফারুক আহমেদের দায়িত্ব গ্রহণের একমাসের বেশি হয়ে গেল। কিন্তু এখনো কোচ হিসেবে বহাল আছেন চান্দিকা হাথুরুসিংহে। তাহলে কি কোচকে সরানোর বিষয়ে নিজের পুরোনো অবস্থান থেকে সরে এসেছেন বিসিবি সভাপতি? তবে হাথুরুসিংহেকে জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিতে আরও কিছুটা সময় চাইলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে রাখলেন, এখনও ব্যাপারটি তাদের ভাবনায় আছে এবং দ্রুতই কিছু একটা দেখা যাবে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) সোমবার বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আবারও কোচের ব্যাপারে তার আগের বক্তব্যের প্রসঙ্গ উঠে এলো। বিসিবি সভাপতি হাসতে হাসতে বললেন, দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো, এরকম কথা কিন্তু আমরা জাতীয় দলের ক্ষেত্রে বলতে পারব না…।
তার দিকে পাল্টা প্রশ্ন ছুটে গেল, তাহলে কি দুষ্টু গরুই রাখবেন? এবার বোর্ড প্রধান আরেকটু খোলাসা করলেন কোচকে নিয়ে তাদের ভাবনা। তিনি বলেন, নাহ, রাখব না। এটার জন্য সময় দিতে হবে। এখনও কিন্তু ছয় মাস বাকি আছে মেয়াদের। এখনও তিনটি সিরিজ আছে সামনে, ছয় মাস সময় আছে। আমরা চেষ্টা করছি, ইতিবাচক কিছু তাড়াতাড়ি দেখতে পাবেন। আমি যদি কিছু না করি, ফলপ্রসূ কিছু না পেলেও হুট করে সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। তবে এটা এখনও আমাদের চিন্তায় আছে, মাথায় আছে এটা। খুব শিগগিরই দেখতে পাবেন, আগের মতোই বলছি…।
বিসিবি সভাপতির কথায় এটা পরিস্কার যে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে হাথুরুসিংহের বিদায় নেয়ার দিনক্ষণের গণনা শুরু হয়ে গেছে। যথাযথ বিকল্প কোনো কোচ পেলেই সঙ্গে সঙ্গেই হাথুরুসিংহের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করবে বিসিবি।
হাথুরুসিংহের সঙ্গে বিসিবির চুক্তি আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত। বিসিবি যদি তার আগেই তাকে বিদায় করতে চায়, সেক্ষেত্রে চুক্তি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ হিসেবে হাথুরুসিংহেকে তখন তিন মাসের বেতন দিতে হবে বিসিবিকে। আয়করসহ যা সব মিলিয়ে এক লাখ মার্কিন ডলারের ওপরে পড়বে। সেই বিষয়টি মাথায় নিয়েই হয়তো আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বোর্ড।