কক্সবাজার থেকে সদ্য প্রত্যাহার হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজুল আজিম নোমানের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করে বাদীকে ডেকে এজাহারে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সদর থানায় দায়িত্বে থাকাকালীন অবস্থায় এই মামলার নথি গোপন করে রেখেছিলেন ওসি নোমান। পরে কক্সবাজার সদর থানা থেকে তাকে প্রত্যাহারের পর মামলাটির নথি প্রকাশ পায়।
মামলার নথিতে দেখা যায়, গত ৫ নভেম্বর রাত ১২টা ৫ মিনিটে কক্সবাজার সদর থানায় মামলাটি রেকর্ড করেন ওসি নোমান। মামলার এজাহার জমা দেয়া হয় দিনের বেলায়। দ্রুত এজাহার লিখে তা আবার কক্সবাজার সদর থানার ৭১২ নং মামলা হিসেবে রেকর্ড করেন তিনি। ওমর ফারুক নামের এক ব্যাক্তিকে মামলার বাদী দেখানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, মামলা দায়েরের পর মামলার নথি ওসি নোমান তার কাছে গোপন রেখেছিলেন।
এজাহারে দেখা যায়, ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়েছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে পলাতক কক্সবাজারের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ ও ছাত্রলীগের প্রবীণ নেতাদের নামেও মামলা করা হয়েছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) রহমত উল্লাহ জানান, ওসি ফয়েজুল আজিম নোমানের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ পাওয়ায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।