<

নিরাপত্তার আশ্বাস প্রশাসনের, উৎসব না করার সিদ্ধান্তে অনড় ভিক্ষুরা

পার্বত্য চট্টগ্রামে কঠিন চীবরদান উদ্‌যাপন না করার ঘোষণার পর বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সঙ্গে বৈঠক করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। বৈঠকে উৎসব উদ্‌যাপনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হলেও ভিক্ষুরা তিন পার্বত্য জেলায় কঠিন চীবরদান উদ্‌যাপন না করার ঘোষণায় অনড় অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কার্যালয় কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে জেলা প্রশাসনের বৈঠকের পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিভিন্ন বৌদ্ধবিহার পরিচালনা কমিটি, রাজনৈতিক দল এবং সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানেও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কঠিন চীবরদান উদ্‌যাপন না করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে এ বছর পার্বত্য চট্টগ্রামে (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবরদান উদ্‌যাপন না করার ঘোষণা দেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত ভিক্ষু সংঘ। গতকাল রোববার রাঙামাটি শহরের মৈত্রী বৌদ্ধবিহারের দেশনালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর এ বিষয়ে জরুরি বৈঠক ডাকে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসনের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান। বৈঠকে পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের সভাপতি শ্রদ্ধালংকার মহাথের, রাজবিহারের অধ্যক্ষ শীলপালসহ চারজন ভিক্ষু অংশগ্রহণ করেন।

পরে আয়োজিত পৃথক বৈঠকে এএসইউ পদাতিক ডিভিশনের (গোয়েন্দা) কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আল মামুন, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফহাদ হোসেন, জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার, রাঙামাটি রাজবনবিহারের সহসভাপতি নিরুপা দেওয়ান, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. আবদুল আলীম, জাতীয় পার্টির সভাপতি হারুন মাতবর, ইসলামী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. নুর হোসেন, রাঙামাটি শহরের কাঁঠালতলী মৈত্রী বিহারের সাধারণ সম্পাদক পূর্ণ চন্দ্র দেওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জানতে চাইলে পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের সভাপতি শ্রদ্ধালংকার মহাথের বলেন, ‘কঠিন চীবরদান না করার ঘোষণায় অনড় থাকার বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি। সহিংস ঘটনায় আমাদের মনের মধ্যে ভয় কাজ করছে।’

আগামী নভেম্বর মাসে পার্বত্য চট্টগ্রামে মাসব্যাপী কঠিন চীবরদান উৎসব অনুষ্ঠিত হওয়ায় কথা।