ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ নেতারা কাতার ত্যাগ করেছেন। তবে দেশটির রাজধানী দোহায় অবস্থিত হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয় এখনো বন্ধ হয়নি। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার বাইরে হামাসের সবচেয়ে সিনিয়র নেতা খলিল আল-হাইয়া এবং তার আলোচনাকারী দলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আর দোহায় নেই বলে নিশ্চিত করেছেন কাতার সরকার এবং একজন সিনিয়র ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন যে হামাসের অফিসের আর কোনো কার্যকারিতা নেই। কারণ কাতার গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতা প্রচেষ্টা স্থগিত করেছে। যদিও তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়নি।
একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেছেন অস্থায়ী নয়, স্থায়ীভাবে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মত না হলে, ইসরায়েলের সাথে আর কোন ধরনের বন্দি বিনিময় করা হবে না।
গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতারা কাতার ত্যাগ করে তুরস্কে গিয়েছেন এমন গুঞ্জন শোনা গেলেও বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাই, এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে কাতার ত্যাগ করে হামাস নেতারা কোথায় আশ্রয় নিয়েছেন।
তবে, হামাস নেতারা তুরস্কের আশ্রয় নিয়েছেন, এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে। কিন্তু হামাসের পক্ষ থেকে এক টেলিগ্রাম বার্তায় বলা হয়েছে, ইসরায়েলি গণমাধ্যম হামাস নেতাদের কাতার ছেড়ে তুরস্কে যাওয়ার যে খবর প্রকাশ করেছে, তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা।