<

ঘুষ ও প্রতারণার অভিযোগে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে মার্কিন আদালতে মামলা

ঘুষ ও প্রতারণার মামলায় বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।

বুধবার (২০ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ফেডারেল কৌঁসুলিরা আদানি ও তার কয়েকজন সহযোগীকে অভিযুক্ত করেন। এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, লাভজনক সৌরশক্তি সরবরাহ চুক্তি সুরক্ষিত করার জন্য ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের ২ হাজার ২৯ কোটি রুপি ঘুষ দিয়েছিলেন গৌতম আদানি ও তার সহযোগীরা। পরবর্তী সময়ে তারা বিনিয়োগকারীদের কাছে এ বিষয়ে মিথ্যা বলেছিলেন।

মার্কিন বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে প্রতারণার আশ্রয় নেয়ার কথা বলা হয়েছে মামলার অভিযোগে। ৬২ বছর বয়সী টাইকুনের বিরুদ্ধে ভুয়া তথ্য ও নথি দেখিয়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ নেয়ার অভিযোগও রয়েছে।

দু’বছর আগে একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, এনার্জি প্রকল্পে সুবিধা পেতে ভারতের কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে থাকতে পারে আদানি গোষ্ঠী। এ ঘটনার পরপরই তদন্ত শুরু করে মার্কিন গোয়েন্দারা।

জানা গেছে, গৌতম আদানি ছাড়াও সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন গৌতম আদানির স্বজন সাগর আদানি, আদানি গ্রিন এনার্জির সাবেক সিইও ভিনেত এস জেইন। এরইমধ্যে গৌতম আদানি ও সাগর আদানির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিচারক।

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় আদানির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গঠিত হলো। নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পর সামাজিকমাধ্যমে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন গৌতম আদানি। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, তার প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায়।

গৌতম আদানি ভারতের শাসক দল বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। আর এই ঘনিষ্ঠতা থেকে দুই পক্ষই লাভবান হচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করে আসছে।