রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের জোহা চত্বরে এই অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এ দিন দুপুরে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা পুনরায় বহাল রাখায় শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচিতে বসেন।
এ সময় তারা ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিল করা না হলে তাদের এ অনশন অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষক বা কর্মকর্তাদের সন্তানেরা কোনভাবেই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না। এ সময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের এমন সিদ্ধান্তে চরম আশাহত হয়েছেন বলে জানান।
আমরণ অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান মারুফ, সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আবুল কলাম আজাদ, ফার্সি বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াজেদ, ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী আল-শাহরিয়া ও শারিরীক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মাসুম ও আরেকজন।
অনশনে বসা মেহেদি হাসান মারুফ বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের দাবি ছিল কোটার বিরুদ্ধে। সেখানে এই কোটাই যদি থেকে যায়, তাহলে চব্বিশের বিপ্লবীদের সাথে বেঈমানী করা হবে। অবিলম্বে পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত না নেবে, ততক্ষণ পর্যন্ত অনশন চলতে থাকবে।
অনশনে বসা অন্য শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু দাবি রাখা হয়নি। তারা কি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী? যদি তাই না হয়, তাহলে পোষ্য কোটা রাখার কোনো যৌক্তিকতা দেখছি না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার ভর্তি কমিটি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা নাতি-নাতনি কোটা বাতিল করা হয়েছে। তবে এই কোটায় শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের বিবেচনা করা হবে। পোষ্য কোটা বহাল রেখে এক শতাংশ কমানো হলেও এখনো ৩ শতাংশ বহাল রাখা হয়েছে।