<

হামাস নেতাদের কাতার ছাড়ার নির্দেশের নেপথ্যে কী, কারা?

হামাস নেতাদের কাতার ছাড়তে বলেছে দেশটির সরকার। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এই তথ্য উঠে এসেছে। তবে, কাতার প্রশাসন বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করেনি।

সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে দোহা এই পদক্ষেপ নিয়েছে। অন্তত ১০ দিন আগে দেশটিতে বসবাসরত হামাস সদস্যদের অন্যত্র যাওয়ার বার্তা দেয়া হয়েছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে হামাস অথবা কাতার সরকার কেউই কোনো মন্তব্য করেনি।

২০১২ সাল থেকে কাতারের রাজধানীতে অফিস পরিচালনা করছে হামাস। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের কারণে সে সময়ে কাতারে অবস্থান নিয়েছিলেন এই সংগঠনটির নেতারা। এতোদিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সাথে হামাসের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবেও কাজ করেছে কাতার।

এক কর্মকর্তার বরাতে টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করে দেয়ার প্রেক্ষাপটে বাইডেন প্রশাসন এমন কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। তারা এখন মনে করছে, দোহায় হামাসের অফিস থাকাটা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এ কারণে আমেরিকান কোনো অংশীদারের রাজধানীতে তারা আর থাকতে পারে না।

অন্যদিকে হামাস জোর দিয়ে বলে আসছে যে তারা কোনো ‘অবাস্তব’ চুক্তি মেনে নেবে না।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, দু’সপ্তাহ আগে হামাসকে বিদায় করতে কাতারকে অনুরোধ করে যুক্তরাষ্ট্র। তারা জানান, কাতার ২৮ অক্টোবরের দিকে হামাসকে কাতার ছাড়ার নোটিশ দেয়।

এদিকে, এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। বাইডেন প্রশাসনের সামরিক সহায়তায় সেখানে প্রাণহানি ছাড়িয়েছে ৪৩ হাজার। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ায় আরও উদ্বেগ বেড়েছে গাজাবাসীর মধ্যে।