শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় কিছু মানুষের বিক্ষোভের পর ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের প্রদর্শনী মাঝপথে বন্ধের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের বক্তব্য ভুলভাবে গণমাধ্যমে এসেছে এবং এটি জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ থেকে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। প্রধান উপদেষ্টার ফেইসবুক পেজ থেকেও বিজ্ঞপ্তিটি শেয়ার করা হয়েছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৩ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে দেশের কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় ‘শিল্পকলায় নাটকের প্রদর্শনী বন্ধের ঘটনা সমর্থন করে না সরকার’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের মূল বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ফলে এটি জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
প্রকৃতপক্ষে তিনি বিক্ষুব্ধকারীদের নাটক বন্ধ করে দেয়ার ঘটনাকে অর্থাৎ শিল্পচর্চার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সরকার সমর্থন করে না মর্মে বুঝিয়েছেন। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২ নভেম্বর) শিল্পকলা একাডেমিতে ‘দেশ নাটক’ প্রযোজিত ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে কিছু লোক শিল্পকলার গেটের সামনে দেশ নাটকের সদস্য এহসানুল আজিজ বাবুকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
পরে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জামিল আহমেদ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করলে যথারীতি নাটকের প্রদর্শনী শুরু হয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা ফের সংগঠিত হয়ে নাট্যশালার গেটের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে মহাপরিচালক ‘দেশ নাটকের’ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে প্রদর্শনী বন্ধ করার সিদ্ধান্ত দেন।
পরদিন এক ব্রিফিংয়ে জামিল আহমেদ বলেন, দর্শকের ‘নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে’ নাটকের প্রদর্শনী মাঝপথে বন্ধ করে দেয়া হয়। পরিস্থিতি দেখে তার আশঙ্কা হয়েছিল, শিল্পকলা একাডেমিও আক্রান্ত হতে পারে।
এই ঘটনায় উদীচী, দেশ নাটক বিবৃতি দিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিক্ষুব্ধ থিয়েটারকর্মীরাও।