দক্ষিণ লেবাননের সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে সংঘর্ষে ইসরায়েলি এলিট বাহিনীর ২০ জনের বেশি সেনা নিহত বা আহত হয়েছে। শুক্রবার (০৫ অক্টোবর) এমন দাবি করেছে দেশটির প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হিজবুল্লাহ। খবর আনাদোলুর।
হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, দুই দেশের সীমান্তের পাশ্ববর্তী এলাকায় ইসরায়েলের যুদ্ধট্যাংক ও সামরিক জমায়েতকে লক্ষ্য করে ভারী রকেট হামলা চালালে এসব ইসরায়েলি সেনা হতাহতের ঘটনা ঘটে।
হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা মালিকিয়া পোস্টের কাছে একটি ইসরায়েলি মেরকাভা ট্যাংক গাইডেড মিসাইল দিয়ে ধ্বংস করে। এর ফলে যুদ্ধযানে থাকা সেনারা নিহত ও আহত হয়। এ ছাড়া হাইফার উপকণ্ঠ এবং কিরিয়াত শমোনার কাছে ইসরায়েলি আর্টিলারি অবস্থানে রকেট হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছে গোষ্ঠীটি।
হিজবুল্লাহ আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে ভারী ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা হয়েছে। এর মধ্যে দখলকৃত কাফর শুবা পাহাড়ে রুয়েসাত আল-আলম এবং কারমিয়েল ও সা’সার সামরিক বাহিনী রয়েছে। উত্তর ইসরায়েলের আল-বাগদাদি পোস্টের কাছে নাফাহ ঘাঁটি এবং সৈন্যদের সমাবেশেও বোমাবর্ষণ করা হয়েছে।
তবে এসব বিষয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য আসেনি।
সপ্তাহ দুয়েক ধরে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র দল হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে বিমান হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। তাদের হামলায় লেবাননে দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহও রয়েছেন।
গত শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) লেবাননের দক্ষিণ উপশহরে অবস্থিত হিজবুল্লাহর সদরদপ্তরে ইসরায়েলি হামলায় হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ইরানপন্থী প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হিজবুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে। তিনি ৩২ বছর হিজবুল্লাহর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
অবশ্য প্রায় এক বছর ধরে সীমান্তে পাল্টিপাল্টি হামলা করে আসছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও ইসরায়েলি সেনারা। তবে সম্প্রতি গাজা থেকে নিজেদের যুদ্ধের মূল ক্ষেত্র লেবাননে বদলি করার ঘোষণা দেয় নেতানিয়াহু সরকার। এই ঘোষণার পর থেকেই দেশটিতে একের পর এক ভয়াবহ হামলা করে আসছে ইসরায়েলি সেনারা। নাসরাল্লাহকে মারার পর আরও আত্মবিশ্বাসী ইসরায়েল এখন লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করেছে।