<

জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের

চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের। জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির লোকসান হয়েছে শেয়ারপ্রতি ৫৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৫৯ পয়সা আয় হয়েছিল তাদের।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি গত বৃহস্পতিবার তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

গত বুধবার অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হয়।

তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসানের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বিনিয়োগের প্রভিশন সংরক্ষণের হার গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়ে যাওয়া।

জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে লোকসান দিলেও বছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে ভালো মুনাফা করেছে ইসলামী ব্যাংক। ফলে তৃতীয় প্রান্তিকের লোকসান সত্ত্বেও বছরের প্রথম ৯ মাসে বা তিন প্রান্তিকে ব্যাংকটি মুনাফা করেছে। জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৬৬ পয়সা আয় করেছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৭২ পয়সা আয় করেছিল ইসলামী ব্যাংক।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ছিল ৪৫ টাকা ৩৭ পয়সা। গত বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ৪৪ টাকা ১৪ পয়সা।

ইসলামী ব্যাংক একসময় করপোরেট সুশাসনের দিক থেকে ভালো অবস্থানে ছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটির মালিকানা নেওয়ার পর থেকে নামে-বেনামে অন্তত ৫০ হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে চট্টগ্রামভিত্তিক এই গোষ্ঠী। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের অনিয়মে গত সাত বছরে ইসলামী ব্যাংকের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ইসলামী ব্যাংক এস আলম গ্রুপমুক্ত করা হয়েছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে পরিচালনা পর্ষদ।