চট্টগ্রামে ব্যাটিং স্বর্গ উইকেটে প্রথম দিনেই দেখা গেল প্রোটিয়া ব্যাটারদের দাপট। টনি জর্জি ও ত্রিস্তান স্টাবসের সেঞ্চুরিতে ২ উইকেটে ৩০৭ রান তুলেছে সফরকারীরা। দুজনেরই ক্যারিয়ারে এটি প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। আর তাতেই সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে থাকা টাইগারদের সামনে তাই রান পাহাড়ে চাপা পরার শঙ্কা।
জাকের আলীর ইনজুরি হঠাৎই টেস্ট অভিষেকের সুযোগ এনে দেয় মাহিদুল অঙ্কনকে। কিন্তু গ্লাভস হাতে প্রথম সুযোগটাই নষ্ট করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। প্রোটিয়াদের ইনিংসে দলীয় ২৭ রানে হাসান মাহমুদের বলে ডি জর্জির ক্যাচ ছেড়ে আক্ষেপের সূচনা করেন তিনি। ব্যক্তিগত ৬ রানে জীবন পাওয়া জর্জি এরপর দিন শেষ করেছেন ১৪১ রানে অপরাজিত থেকে।
চট্টগ্রামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী শুরু ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রথম ৫০’র দেখা পেতে মাত্র ৬৫ বল খরচ করেছেন মার্করাম-জর্জি জুটি। দলীয় শতরান আসে ১৫৩ বলে। এর আগে টাইগারদের প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন তাইজুল ইসলাম। মুমিনুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে একপ্রকার উইকেট বিলিয়ে আসেন ৩৩ রান করা মার্করাম।
এরপর অবিচ্ছিন্ন জুটিতে স্বাগতিক বোলারদের রীতিমতো শাসন করতে থাকে দুই তরুণ জর্জি ও স্টাবস। তাদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় অসহায় সময় পার করেন মিরাজ-তাইজুলরা। ২০৫ রান করে দ্বিতীয় সেশন শেষ করে সফরকারিরা।
তবে শেষ বিকেলেও দৃশ্যপটও পাল্টাতে পারেনি নাজমুল শান্তর দল। উল্টো সাবধানি ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক তুলে নেন ডি জর্জি। ক্যারিয়ারের ৮ম টেস্ট খেলতে নামা এই বাহাতি ওপেনার তিন অঙ্কের ম্যাজিক পূরণ করেন ১৪৬ বলে। এর ঠিক পরপরই দ্বিতীয় জীবন পান তিনি। ডিপ স্কয়ার থেকে ফিল্ডারের থ্রো উইকেট ভাঙতে ব্যর্থ হলে এ যাত্রায় বেচে যান ব্যাটার।
অন্যদিকে তার থেকে বেশি সাবধানী ভূমিকায় ছিলেন ক্যারিয়ারের ৫ম টেস্ট খেলতে নামা ট্রিস্টান স্টাবস। টি-টোয়েন্টির মারকুটে ব্যাটার নিজের অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরি পেতে ১৯৪ বল খেলেন। তাইজুলের নীচু হয়ে আসা বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এতেই ভাঙে ২০১ রানের জুটি।
স্বাগতিক চার বোলার সারাদিনে প্রান্ত বদল করে ধৈর্য পরীক্ষা দিলেও সফল ছিলেন শুধু তাইজুল ইসলাম। দুই পেসার হাসান-নাহিদের নির্বিষ বোলিংয়ের দিনে প্রোটিয়া ব্যাটাররা সবচেয়ে বেশি চড়াও হন মেহেদী হাসান মিরাজের ওপর। প্রায় ৫ ইকোনেমি রেটে বল করে থাকলেন উইকেট শূন্য।