রাজশাহীতে এক গ্রাহক হাঁসুয়া নিয়ে মিটার রিডারের ওপর হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে নগরের কয়েরদাঁড়া মহল্লায় এই ঘটনা ঘটে।
নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) পক্ষ থেকে এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে—এমন অভিযোগ এনে গ্রাহক বাবুল আক্তার (৪৫) হাঁসুয়া নিয়ে মিটার রিডারের ওপর হামলা করেন। তাঁর বিদ্যুৎ–সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে নেসকো।
আহত মিটার রিডারের নাম সালাউদ্দিন আল সবুজ। তিনি নেসকোর রাজশাহীর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৩–এর অধীন কাজ করেন। তাঁর বাড়ি নগরের আমবাগান মহল্লায়।
সালাউদ্দিন আল সবুজ জানান, প্রতি মাসেই বাবুল আক্তারের বাসার মিটারের রিডিং তুলতে গেলে তিনি ঝামেলা করেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে বাড়তি বিল দেওয়া হয়। গত মাসে তিনি নেসকো কার্যালয়েও এসেছিলেন। যাচাই করে দেখা গেছে, তাঁর বিল ঠিকই দেওয়া হয়েছে।
সালাউদ্দিন আল সবুজ বলেন, গতকাল বিকেলে বাবুলের বাড়ির মিটারের রিডিং তুলতে গেলে তিনি বাধা দেন। সরকারি কাজে বাধা না দিতে অনুরোধ করলে তিনি গালিগালাজ করেন। নিষেধ করলে তিনি স্যান্ডেল খুলে তাঁকে (সালাউদ্দিন) মারেন। আত্মরক্ষায় তিনি ধাক্কা দিলে বাবুল পড়ে যান। পরে তিনি হাঁসুয়া নিয়ে আক্রমণ করেন। সালাউদ্দিন হাত দিয়ে হাঁসুয়া আটকাতে গেলে একটি আঙুল কেটে যায়।
আশপাশের লোকজন সালাউদ্দিনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসার পর রাতে নগরের বোয়ালিয়া থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বাবুল আক্তারকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোন নম্বরও যোগাড় করা সম্ভব হয়নি।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ জানান, রাতে একটি খুনের ঘটনা নিয়ে তিনি ব্যস্ত ছিলেন। মিটার রিডার সবুজের অভিযোগ তিনি দেখেননি। তবে অভিযোগ দেওয়া হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নেসকোর রাজশাহীর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৩–এর নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা জানি। ঘটনার পর বাবুল আক্তারের বাসার বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে অফিসে ডাকা হয়েছে। পাশাপাশি থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।