অধিকৃত গোলান মালভূমিতে দখলদার ইসরাইলি সেনাদের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরাকের প্রতিরোধ যোদ্ধারা। ড্রোন হামলায় দুই দখলদার সেনা নিহত ও কমপক্ষে ২৪ জন আহত হয়েছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) বরাতে টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, শুক্রবার ইরাক থেকে আসা দুটি ড্রোনের একটি আকাশেই ধ্বংস করা সম্ভব হলেও অপরটি একটি সেনা ঘাঁটিতে আঘাত হানে।
নিহত সেনারা হলো- সার্জেন্ট ড্যানিয়েল আভিভ হাইম সোফার, গোলানি ব্রিগেডের ১৩তম ব্যাটালিয়নের একজন সিগন্যাল অফিসার ক্যাডেট এবং কর্পোরাল তাল দ্রর, গোলানি ব্রিগেডের ১৩তম ব্যাটালিয়নের একজন আইটি বিশেষজ্ঞ।
এর আগে ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ ফ্রন্ট অধিকৃত গোলান মালভূমিতে ইসরাইলি সেনা অবস্থান লক্ষ্য করে তিনটি ড্রোন নিক্ষেপের খবর দিয়েছিলো।
এদিকে, গাজা উপত্যকা ও লেবাননে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পাল্টা হামলায় আরও ২৫ ইসরাইলি সেনার আহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে তেল আবিব। আহতদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ার কথা জানালেও এ সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি ইহুদিবাদী বাহিনী।
লেবাননে স্থল আগ্রাসন চালাতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৯ সেনা নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে ইসরাইলি বাহিনী। তবে লেবাননের হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তাদের একদিনের হামলায় অন্তত ১৭ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে।
হিজবুল্লাহর মুখপাত্র মোহাম্মদ আফিফ বলেন, এটি সংঘাতের শুরু মাত্র। হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা দক্ষিণে প্রতিরোধের প্রস্তুতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
গেলো বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল। এ আগ্রাসনে ৪২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন এক লাখের বেশি মানুষ।
চলমান এ গণহত্যার প্রতিবাদে গেলো বছর ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে হিজবুল্লাহ। এর জেরেই লেবাননের বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। এসব হামলায় নিহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে।