বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিরতির খবরে ফিলিস্তিনের গাজায় উৎসবের আমেজ

ফিলিস্তিনের গাজা

কাতারের প্রধানমন্ত্রীর ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা

ফিলিস্তিনে দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি বর্বরতার পর অবশেষে এলো যুদ্ধবিরতির ঘোষণা। কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় বুধবার দোহায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছায় হামাস ও ইসরায়েলি নেতানিয়াহু প্রশাসন। এমন খবরে পুরো ফিলিস্তিন উপত্যকাজুড়ে চলছে আনন্দ উল্লাস।

মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতির সুসংবাদ জানাতেই রাস্তায় নেমে আসেন ফিলিস্তিনের গাজায় উপত্যকার হাজারো বাসিন্দা। খান ইউনিসসহ পুরো গাজা শহরজুড়ে চলছে জনতার উচ্ছ্বাস। বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত গাজা, শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ নাচে-গানে মেতে উঠেছেন। আতশবাজি পোড়ানো আর পতাকা উড়ানোর মাধ্যমে তারা উদযাপন করছেন এই বিরল আনন্দঘন মুহূর্ত।

বাংলাদেশ সময় বুধবার রাতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি আনুষ্ঠানিকভাবে এই যুদ্ধবিরতির চুক্তির বিষয়টি ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি বিনিময়ের বিষয়ে একটি সমঝোতা হয়েছে। ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা চুক্তিটি অনুমোদন করেছে এবং এটি রোববার থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

গণমাধ্যমে আগাম খবর ও ফিলিস্তিনিদের প্রতিক্রিয়া। যদিও কাতারের প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই মধ্যস্থতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার বরাতে যুদ্ধবিরতির সংবাদ প্রচার করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। সেই মুহূর্ত থেকেই ফিলিস্তিনের জনগণ উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। গাজার রাস্তায় নেমে তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন এবং শান্তির এই সম্ভাবনা উদযাপন করতে শুরু করেন।

ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষ এই চুক্তিকে তাদের বেঁচে থাকার আশা এবং শান্তির একটি বড় ধাপ হিসেবে দেখছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই যুদ্ধবিরতি দীর্ঘমেয়াদে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।

-সায়মন ইসলাম

guest
0 মতামত সমুহ
Inline Feedbacks
View all comments