<

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অনুষদের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার পদ্ধতি বাতিলের দাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার পদ্ধতি বাতিল করে পুনরায় বর্ষ পদ্ধতি চালুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

এতে ‘আইন বিভাগ’ এবং ‘আইন ও ভূমি প্রশাসন’ বিভাগের ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। দাবি মেনে নেওয়া না হলে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

কর্মসূচির সময় শিক্ষার্থীরা ‘সেমিস্টারে নেই স্বস্তি, বার্ষিকতায় মুক্তি’, ‘গভীর জ্ঞান আর গবেষণা, সেমিস্টারে মিলবে না’, ‘সেমিস্টারে সিজি হালি, কিন্তু আমার মাথা খালি’, ‘আইনের শিক্ষা বাড়াও, সেমিস্টার ছাড়াও’, ‘অ্যাবোলিশ সেমিস্টার, এস্টাবলিশ ইয়ার’ লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

আইন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শায়লা জাহান ঋতু বলেন, ‘আমাদের ব্যাচ থেকে বিভাগে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। আমাদের বিগত ব্যাচগুলো বর্ষ পদ্ধতিতে পড়াশোনা করে আসছেন। বর্তমান সেমিস্টার পদ্ধতিতে বছরে দুটি সেমিস্টার শেষ করতে হয়। তবে যে পরিমাণ পাঠ্যসূচি দেওয়া হয়, তা মাত্র ছয় মাসে শেষ করা সম্ভব নয়। আইন একটি পেশাদারি বিষয়। ছয় মাসের সেমিস্টারে যা শেখানো হয়, তার কিছুই পেশাগত জীবনে প্রয়োগ করা সম্ভব না। এ ছাড়া সেমিস্টার পদ্ধতিতে যেতে একটি বিভাগের যে অবকাঠামো থাকা দরকার তা এই অনুষদে নেই। তাই আমরা বর্ষ পদ্ধতিতে পড়াশোনা করতে চাই।’

আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল হালিম বলেন, ‘উপাচার্য স্যার আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন একাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন। গতকাল একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক হয়েছে। তবে আমাদের বিষয়টি সেখানে উত্থাপিত হয়নি। এক বছর আগেও বিভাগে বর্ষ পদ্ধতি চালু ছিল। সেমিস্টারে থাকায় আমাদের পড়াশোনায় অনেক ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।’

প্রশাসনের কাছে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি বলে দাবি করেছেন আইন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ছয় মাসের সেমিস্টার হলেও মূলত সাড়ে তিন থেকে চার মাস ক্লাস হয়। সংবিধান ছাড়াও বেশ কিছু মূল বিষয় আছে, যে বিষয়গুলো এই সময়ে পড়ে শেষ করা সম্ভব নয়। যেটা হবে সেটা শুধু পরীক্ষায় পাস করার জন্য। তাই আজকে এখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হয়েছি।’

এসব বিষয়ে জানতে আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ও আইন অনুষদের ডিন আবু নাসের মো. ওয়াহিদের মুঠোফোনে কল করা হলে তাঁরা একটি মিটিংয়ে আছেন এবং পরে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।