রাজধানী ইসলামাবাদে ঢোকার প্রবেশ পথ বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। এছাড়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মুঠোফোন সেবাও। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দী ইমরান খানের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল ঠেকাতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ
গত মাস থেকে ইমরান খানের মুক্তির দাবি এবং জোট সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে লাগাতার বিক্ষোভ করে আসছে পিটিআইয়ের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি একটি জালিয়াতি নির্বাচনের মাধ্যমে এ সরকার গঠন করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসলামাবাদে প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার পথে জাহাজের কন্টেইনার দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। বিশাল পুলিশ সদস্য এবং প্যারামিলিটারি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া যে কোনো জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহশিন নাকভি এক প্রেস কনফারেন্সে বলেন, যদি কেউ ইসলামাবাদে বিক্ষোভের চেষ্টা করে আমরা তা প্রতিহত করব।
আগামী ১৫ ও ১৬ অক্টোবর সাংহাই কো-অপারেটিভ অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সঙ্গে আয়োজিত একটি বৈঠককে কেন্দ্র করে ইমরান খানের দলের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিলের দিনক্ষণ পরিবর্তনের অনুরোধ করেন তিনি।
নাকভি বলেন, ওই বৈঠকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম, সৌদি আরবের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিসহ চীনের প্রিমিয়ার লি কোয়াং যোগ দিবেন। এজন্য বৈঠকের আগে তিনি কোনো সহিংসতা সহ্য করবেন না।
তিনি বলেন, বৈঠকের আগে এ ধরনের বিক্ষোভ বিশ্ব নেতাদের কাছে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছাবে।