<

দাম নিয়ন্ত্রণে সবজি পরিবহন করবে ট্রেন

সবজির দাম বেশ অস্বাভাবিক। এর বড় কারণ সড়কে পরিবহন খরচ ও চাদাঁবাজি। এ অবস্থায় দাম নিয়ন্ত্রণে ট্রেনে সবজি পরিবহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়। যাত্রীবাহী ট্রেনে যুক্ত হবে লাগেজ ভ্যান। পাশাপাশি সবজি পরিবহনে সপ্তাহে দু’দিন বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। যা এক সপ্তাহের মধ্যে চালু হতে পারে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী।

দেশে সবজির চাহিদার বড় অংশ পূরণ হয় যশোর অঞ্চল থেকে। এ অঞ্চলের সবজির বড় পাইকারি বাজার সাতমাইল বারিনগর হাট। সেখানকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, সড়ক পথে সবজি পরিবহনে অতিরিক্ত খরচসহ পথে পথে চাঁদা দিতে হয় তাদের। এতে সবজির দামে বড় প্রভাব পড়ে।

আর যশোর থেকে ঢাকার রেল যোগাযোগ ভালো থাকায় নয়া উদ্যোগে চাঁদাবাজির সুযোগ না থাকার পাশাপাশি পরিবহন খরচ কম হওয়ায় উৎসাহ দেখাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। এ জন্য হাটের কাছাকাছি যশোর ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ট্রেনে সবজি পরিবহনের দাবি তাদের।

এ বিষয়ে স্থানীয় এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, ট্রাকে করে গাড়ির অর্ধেক পণ্য নিলেও যে ভাড়া দিতে হয়, ট্রাকভর্তি পণ্য নিলেও একই ভাড়া দিতে হয়। কিন্তু ট্রেনে নিলে পণ্য হিসাবে ভাড়া দিতে হবে, এতে খরচ কমবে।

আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ট্রেনে গেলে যানজটে পড়বে না। এতে করে সময় সাশ্রয় হবে। আবার অল্প খরচেও পণ্য পরিহবন করা যাবে। ট্রেন চালু হলে কৃষক, ব্যবসায়ীর পাশাপাশি সরকারও লাভবান হবে।

যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদারের মতে, যশোর স্টেশন থেকে কৃষকদের জন্য অন্তত দুইটি বগি রাখা উচিত। এতে তাদের পরিবহন খরচ কমে আসবে। যার প্রভাব পড়বে রাজধানীর সবজির বাজারেও।

ট্রেনে সবজি পরিবহনের সিদ্ধান্ত নেয়ায় যশোর-খুলনা অঞ্চলের পাশাপাশি বগুড়া, চাপাইনবাবগঞ্জ ও পঞ্চগড় জেলাকে সবজি পরিবহনে গুরুত্ব দিচ্ছে রেল মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেছেন, যেসব ট্রেনে ল্যাগেজ ভ্যান আছে, সেগুলোতে অতিরিক্ত একটি বা দুইটি ল্যাগেজ ভ্যান লাগানো হচ্ছে। খুলনা, পঞ্চগড়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলের স্থানীয় হাটবাজারের সাথে মিল রেখে এক-দুইদিন স্পেশাল ল্যাগেজ ভ্যান দিয়ে পণ্য পরিবহন করা হবে। সবার সাথে আলোচনা ফলপ্রসু হলে আশা করছি চার-পাঁচদিনের মধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু হবে।

এরইমধ্যে রেল যোগাযোগ আছে এমন সবজি উৎপাদনকারী জেলাগুলোর ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে রেল বিভাগ।

সরদার সাহাদাত আলী আরও বলেন, ট্রেনে পণ্য লোড-আনলোড করতে কতটাকা খরচ পড়বে সেগুলো ট্রেনের শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে নির্ধারণ করা হবে। এ উদ্যোগ কার্যকর হলে ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে ট্রেনে সবজি পরিবহনের পরিকল্পনা রয়েছে মন্ত্রণালয়ের।