<

হত্যা মামলায় ফারুক খান ২ দিনের রিমান্ডে

বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গোপালগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খানকে ২ দিনের রিমান্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামির উপস্থিতিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাচান ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যার আদালত এ আদেশ দেন।

রিমান্ড আবেদনে পুলিশ জানায়, ঘটনার সঙ্গে আসামি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। পল্টনে সমাবেশের আগে বিএনপির অফিস ভাঙচুর, গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্টসহ ৪৭ লাখ টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুট হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার ও শনাক্ত এবং মূল রহস্য উদঘাটনে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের যুক্তি তুলে ধরে। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে মুক্তিযোদ্ধা ও অসুস্থ বিবেচনায় জামিন চান আসামি পক্ষের আইনজীবী।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ের কর্মসূচি ঘিরে নেতাকর্মীরা সমাবেশের কয়েকদিন আগে থেকে রাজধানীর নয়া পল্টন এলাকায় জড়ো হতে থাকলে মামলার আসামিরা সমাবেশ বানচালের চক্রান্ত করে। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। আন্দোলন দমন করতে নির্বিচারে লাঠিচার্জ, ককটেল হামলা, টিয়ারসেল নিক্ষেপ, সাউন্ড-গ্রেনেড বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মী আহত হন এবং মকবুল হোসেন নামক এক বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

এর আগে সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাতে ফারুক খানকে তার ঢাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এরপর তাকে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় একাধিক মামলার আসামিও তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-১ আসন (মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলার ৭ ইউনিয়ন) থেকে জয়ের পর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান।