জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষককে আটকে পুলিশে দিলেন জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ’পুলিশি হামলার মদদ’ দেওয়ার অভিযোগ থাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফরিদ আহমেদকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার দর্শন বিভাগের ওই শিক্ষককে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে আটক করে একদল শিক্ষার্থী। পরে কোতোয়ালী থানার পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়।

কোতোয়ালী থানার ওসি এনামুল হক বলেন, তাকে আশুলিয়া থানা পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। আশুলিয়ার পুলিশ তাকে পাহারা দিয়ে কোতয়ালী থানাতেই রেখেছে। শুক্রবার তাকে আদালতে উপস্থাপন করবে আশুলিয়ার পুলিশ।

তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে অধ্যাপক ফরিদকে হস্তান্তর করে। আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আন্দোলনের সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আশুলিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।

ওই শিক্ষককে আটকের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত জগন্নাথের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে অধ্যাপক ফরিদ আহমেদকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন রফিক ভবনের নিচতলায় ডেপুটি রেজিস্ট্রার শাহানা আক্তারের রুমে ঢুকতে দেখে। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে কোতোয়ালী থানায় খবর দেয়।

এবিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, আমরা জেনেছি, ফরিদ আহমেদ প্রয়োজনীয় কাজে স্ত্রীর সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে পুলিশে দেন। যথাযথভাবে আইনি প্রক্রিয়ায় বিষয়টির সমাধান হবে।

অধ্যাপক ফরিদ আহমেদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার মদদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা গত ১৮ অগাস্ট অধ্যাপক ফরিদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার পদত্যাগ দাবি করে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ১৫ জুলাই ছাত্রলীগ ও পুলিশ হামলা করে। এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় মদদ দেওয়ার অভিযোগে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমেদকে আসামি করা হয়।