কানাডা পালানোর সময় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা ফারুক হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে শরীয়তপুরের আদালতে তাকে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এর আগে গত শুক্রবার (১১ অক্টোবর) মধ্যরাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে।
ফারুক হাওলাদার শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের মুলাই বেপারী কান্দি গ্রামের রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার মধ্যরাতে দেশত্যাগ করার জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে ফারুক হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মানব পাচার ও দমন আইনে মামলা থাকায় তাকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে জাজিরা থানায় একাধিক মামলা থাকায় তাকে জাজিরা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
ফারুক হাওলাদার পেশায় ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসায়ী হলেও আড়ালে তিনি বিভিন্ন দেশে করে মানব পাচার করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এলাকায় দলাদলি, হানাহানি ও দাঙ্গা বাঁধানোর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফারুক হাওলাদার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যাত্রাবাড়ীতে নিহত রিয়াজুল তালুকদার নামে শ্রমিক দল কর্মী হত্যা মামলার ৭২ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। এরপর কানাডা পালানোর সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করেছে এই যুবলীগ নেতাকে। আটক ফারুক হাওলাদারের বিরুদ্ধে হত্যা, বিস্ফোরক, লুটপাট ও মানব পাচারসহ অন্তত ৩০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি মামলায় অব্যাহতি পেলেও বেশ কিছু মামলায় তিনি পলাতক আসামি ছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে জাজিরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-আমিন বলেন, বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে তাকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের অবগত করলে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায় আমরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে তাকে হেফাজতে নিই। ফারুক হাওলাদারকে নিয়মিত মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।