রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে মিলছে না ডিম। ডজনে সপ্তাহ ব্যবধানে ডিমের দাম কিছুটা কমলেও স্বস্তি নেই বাজারে। এদিকে বাড়তি দামে ডিম কেনায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে।
সহজলভ্য ও সস্তার মধ্যে প্রোটিন পাওয়ার সবচেয়ে ভালো উৎস হচ্ছে ডিম। তাই সাধারণ মানুষের পছন্দের শীর্ষে থাকে ডিম। তবে সেই ডিমের দাম সম্প্রতি ডজনপ্রতি এক লাফে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এতে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের।
প্রতি ডজন ডিমের দর খুচরা পর্যায়ে সরকার বেঁধে দিয়েছে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা। তবে তা কেতাবেই সীমাবদ্ধ। যদিও পাইকারি বাজারে ডিম ডজনে কমেছে ৫ টাকা। লাল ও সাদা ডিম এখন মিলছে ১৩৫ থেকে ১৩৮ টাকায়। দেশি মুরগীর ডিম ১৮০ টাকা এবং হাঁসের ডিম মিলছে ১৭০ টাকায়।
খুচরা পর্যায়েও কিছুটা কমে বাজার ভেদে লাল ও সাদা ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। দেশি মুরগীর ডিম ২১০ টাকা এবং হাঁসের ডিম মিলছে ২০০ টাকায়। তবে বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে ডিম না মেলায় ক্ষোভ বেড়েছে ক্রেতাদের মধ্যে।
বিক্রেতারা বলছেন ,পাইকারী বাজারে ডিমের দাম না কমায় দোকানদাররা বিক্রি করছেন বাড়তি দামে। পাইকারী বাজারে ডিম দাম কেমন খোঁজ নিতে রাজধানীর তেজগাঁও ডিমের বাজারে গেলে দেখা যায় সেখানেও মানা হচ্ছে না সরকার নির্ধারিত দাম। তাদের দাবি ,সরবরাহ কম থাকায় প্রভাব পড়েছে দামে। তবে ভারত থেকে ডিম আমদানি হলে দাম কমবে বলেও দাবি তাদের।