বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইমরান খান-কে ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী বুশরা খান বিবিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান-কে ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী বুশরা খান বিবিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। মামলার রায় অনুযায়ী, তাদের অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। ইমরান খানকে এক মিলিয়ন রুপি এবং বুশরা খানকে পাঁচ লাখ রুপি জরিমানা প্রদান করতে হবে

আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান-কে ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী বুশরা খান বিবিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। মামলার রায় অনুযায়ী, তাদের অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। ইমরান খানকে এক মিলিয়ন রুপি এবং বুশরা খানকে পাঁচ লাখ রুপি জরিমানা প্রদান করতে হবে। জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে ইমরান খানের কারাদণ্ড আরও ছয় মাস এবং বুশরা খানের কারাদণ্ড তিন মাস বাড়বে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। রায়ের পর পিটিআই দাবি করেছে, মামলাটি ভিত্তিহীন এবং ইমরান খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

মামলাটি ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পর আলোচনায় আসে। আল-কাদির ট্রাস্ট নামে একটি দাতব্য সংস্থার কার্যক্রম ঘিরে এই মামলার সূত্রপাত। ট্রাস্টটি ২০১৮ সালে ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা খান প্রতিষ্ঠা করেন, যখন ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, ট্রাস্টটি আসলে একটি ছদ্মবেশী সংস্থা, যার মাধ্যমে ইমরান খান এবং বুশরা খান রিয়েল-এস্টেট ব্যবসায়ী মালিক রিয়াজ হুসেইনের কাছ থেকে মূল্যবান জমি ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মালিক রিয়াজ হুসেইন পাকিস্তানের অন্যতম ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত।

ইমরান খান ও বুশরা খান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা দাবি করেছেন, আল-কাদির ট্রাস্টের সম্পত্তির সাথে তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থের কোনো সম্পর্ক নেই এবং তারা শুধুমাত্র ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

পিটিআই তাদের বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে যে, মামলার সাক্ষ্য এবং প্রমাণসমূহে দুর্নীতি বা অব্যবস্থাপনার কোনো ইঙ্গিত নেই। তারা রায়কে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করেছে এবং রায়ের বিস্তারিত পর্যালোচনা শেষে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে।

এই রায় পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সমর্থকরা একে সরকারের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, অন্যদিকে বিরোধীরা এটিকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে প্রশংসা করছেন।

-সায়মন ইসলাম

guest
0 মতামত সমুহ
Inline Feedbacks
View all comments