শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রসিকিউশনের হাতে শেখ হাসিনা সহ জড়িতদের গণঅভ্যুত্থানের সময় গুরুত্বপূর্ণ কল রেকড তথ্য-প্রমাণ

শেখ হাসিনা

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় ঘটে যাওয়া গণহত্যা এবং গুমের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-প্রমাণ হাতে পাওয়ার দাবি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় ঘটে যাওয়া গণহত্যা এবং গুমের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-প্রমাণ হাতে পাওয়ার দাবি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশন জানিয়েছে, তারা গণহত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফোনকল রেকর্ড এবং গুমের ঘটনায় প্রাপ্ত নতুন তথ্য-প্রমাণ হাতে পেয়েছে। এই প্রমাণগুলো ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা এবং বি এম সুলতান মাহমুদ এ তথ্য জানান। তারা বলেন, “গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের কিছু ফোনকল রেকর্ড আমাদের হাতে এসেছে, যা তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি, গুমের ঘটনাগুলো সম্পর্কেও আমরা কিছু নতুন তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি, যা পূর্ববর্তী তদন্তে অনুপস্থিত ছিল।”

তবে প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেন, ট্রাইব্যুনালে তথ্য সরবরাহে অনেক ক্ষেত্রে অসহযোগিতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই বিষয়ে তারা জানান, নির্দিষ্ট কিছু সংস্থা এবং ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে তথ্য প্রদানে গড়িমসি ও বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। প্রসিকিউটর তানভীর হাসান বলেন, “তথ্য সরবরাহে জটিলতা সৃষ্টি করা হলে সুষ্ঠু বিচারিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। আমরা চাই, সবাই এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করুন।”

এদিকে, এই নতুন তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত আরও গভীরভাবে চালানো হবে বলে জানিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এসব প্রমাণ ঘটনার পেছনের প্রকৃত চিত্র উদঘাটনে সহায়ক হবে। তারা বলছেন, নতুন ফোনকল রেকর্ড ও তথ্য-প্রমাণ বিচার কার্যক্রমে নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে এবং দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

অপরদিকে, গণহত্যা ও গুমের ঘটনায় নতুন তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার খবরে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বিচার পাওয়ার আশায় নতুন করে আশাবাদী হচ্ছেন, আবার অনেকেই বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।

এখন দেখার বিষয়, এই প্রমাণগুলো কীভাবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয় এবং গণহত্যা ও গুমের ঘটনায় দায়ীদের আইনের আওতায় আনা যায় কিনা। প্রসিকিউটররা আশা করছেন, এই তথ্য-প্রমাণ সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে সাহায্য করবে।

-সায়মন ইসলাম

guest
0 মতামত সমুহ
Inline Feedbacks
View all comments